ডেস্ক রিপোর্ট
ডি এইচ মান্না,সিলেট থেকে: অগ্রিম টাকা নিয়ে সিলেটের বালাগঞ্জে একটি মাহফিলে না আসার অভিযোগ ওঠেছিলো সময়ের আলোচিত ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরির বিরুদ্ধে।
মাহফিল আয়োজক কমিটির অভিযোগ ছিল নিজের ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে অগ্রিম ৩৩ হাজার টাকা নিয়ে মাহফিলে আসেননি তিনি।
সেই অভিযোগ অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। অবশেষে তা প্রমাণ করতে সিলেটের আদালতের দারস্থ হয়েছেন তাহেরি। তিনি সিলেটের আদালতে এসে একটি মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে তিনি সিলেট আসেন এবং সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার আবেদন করেন।
এসময় সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি বালাগঞ্জের মাহফিলের কোনো দাওয়াত পাইনি। জানি-ই না কে বা কারা আমার নাম করে টাকা নিয়েছে। কিন্তু আমার নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে তাই আমি আদালতে মামলা দায়ের করতে এসেছি।
বিভিন্ন ফেসবুক লাইভে আমাকে গালিগালাজ করা হয়েছে এবং আমার নামে টাকা নেওয়ার অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করছি। আদালহ আমার আবেদনটি আমলে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরি অগ্রিম ৩৩ হাজার টাকা নিয়ে সিলেটের বালাগঞ্জে একটি ওয়াজ মাহফিলে আসেননি- এমন অভিযোগ ওঠে গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ)। এদিন বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে এ মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয়রা।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়- ওয়াজ মাহফিলটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরিকে। বিকেলের দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁর ওয়াজ করার কথা ছিলো।
মাহফিলে আসা বাবদ তার পিএএস-এর কাছে দুই ধাপে অগ্রিম ৩৩ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাহেরির পিএসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা মোবাইল ফোনে বার বার কল দিলে কেউ রিসিভ করেননি। ওয়াজের নির্ধারিত সময় পর্যন্তও কেউ কল রিসিভ করেননি, এমনকি কল ব্যাকও করেননি।
এক পর্যায়ে টাকা নিয়ে তাহেরির না আসার অভিযোগটি আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে মাহফিলের মাইকে জানিয়ে ওয়াজ শুনতে আসা মুসল্লিদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়।
এসময় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তাহেরির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং জুতা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এছাড়াও এসময় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাহেরিকে পুরো সিলেটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এমন কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
Discussion about this post