নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ২৩ শে জানুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে ১৬৫০টি স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। উক্ত পদে ২৮৫৩৫ জন প্রার্থী আবেদন করে। তার মধ্যে অবশেষে ৫১১৪ জন প্রার্থী প্রিলিমিনারী ও লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে বিগত ১৮-১২-২০১৯ থেকে ১৪-০১-২০২০ তারিখের মধ্যে ভাইভা পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ভাইভা সম্পন্ন হবার ২ দিনের মাথায় বিগত ১৭-০১-২০২০ তারিখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৬৫০ জন প্রার্থী নির্বাচন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, ২৩-০১-২০১৮ ইং তারিখের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৬নং শর্তাবলির কলামে জেলা কোটা সহ সরকার কর্তৃক প্রচলিত অন্যান্য সকল কোটা বিধি অনুসরণ করার কথা বলা হয়। পরবর্তীতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে জেলা কোটা সহ অন্যান্য কোটা অনুসরণ না করার কারণে উক্ত ১৭-০১-২০২০ ইং তারিখের নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন নং- ১৭৩৫/২০২০ সহ আরো কয়েকটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। বিগত ১৬-০২-২০২০ ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত রিট পিটিশন নং-১৭৩৫/২০২০ এ রুল নিশি জারী করেন এবং উক্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থিতিবস্থা প্রদান করেন। উক্ত স্থিতিবস্থা আদেশের বিরুদ্ধে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করলে নো অর্ডার হয়। তৎপরবর্তীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং-৭২৬/২০২০ দায়ের করিলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এর আপিল বিভাগ বিগত ১২-০৩-২০২০ ইং তারিখে শুনানী অন্তে তা ডিসমিস করেন।
তৎপরবর্তীতে উক্ত রিট পিটিশন নং-১৭৩৫/২০২০ সহ আরো কতিপয় রিট পিটিশনের রুল শুনানী অন্তে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ বিগত ১৬-০৯-২০২০ ইং তারিখ তা খারিজ করে দেন। অর্থাৎ বিগত ১৭-০১-২০২০ ইং তারিখের নিয়োগ আদেশ বৈধ বলে ঘোষণা করেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত রিট পিটিশনের রায়ের আদেশের কপি পাওয়ার পূর্বেই ১৬-০৯-২০২১ ইং তারিখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) প্রশাসন ও অর্থ উইং একটি নোটিশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সকল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের বরাবর জারি করেন। যাহাতে উল্লেখ করেন যে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত ১৬৫০ জন প্রার্থী হতে স্ব-স্ব অঞ্চলের অধীনে নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ১৯-০৯-২০২১ইং সকাল ০৯ ঘটিকায় রবিবার যোগদানের জন্য বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে রিট পিটিশন নং-১৭৩৫/২০২০ এর আইনজীবি ব্যারিষ্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু এর সহিত যোগাযোগ করিলে তিনি বলেনঃ
বিগত ১৬-০৯-২০২১ ইং তারিখে দুপুর আনুমানিক ১/১.৩০ ঘটিকায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ শুনানী অন্তে রিট পিটিশন এর রুল খারিজ করেন। ঐদিনই আমরা রায়ের সার্টিফাইড কপি উত্তোলনের জন্য দরখাস্ত দাখিল করি। পরে ঐ দিনই রাত্রে ৮টার দিকে জানতে পারলাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উক্ত ১৬৫০টি পদে নিয়োগপত্র জারি ও যোগদানের জন্য ১৯-০৯-২০২১ইং তারিখে সকাল ৯ টায় নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই সংক্রান্তে স্মারক নং-৩১৫৪ এর একটি কপিও আমরা পেয়েছি। তবে ঐদিনই রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কিংবা সংশি্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এরুপ কোন নোটিশ/বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায় নি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উক্ত নোটিশ টি যদি সত্যি জারি করা হয়ে থাকে তবে তা অনভিপ্রেত এবং তা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ করে কারণ ১৭৩৫/২০২০ এর রিটকারীগণ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে ১৯-০৯-২০২১ তারিখ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপীল দায়ের করিতে ইচ্ছুক। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৭-০৯-২০২১ এবং ১৮-০৯-২০২১ সরকারী ছুটির দিন ফলে রিট কারিগণ এই ২দিন কিছুই করতে পারবেন না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের এরুপ তড়িঘড়ি করে যোগদানের আদেশ তাদের অসৎ উদ্দেশ্যের বহিঃপ্রকাশ । কারণ উক্ত ১৬৫০ জনের নিয়োগ ও যোগদান আগামী ১৯-০৯-২০২১ ইং তারিখে সকাল ৯টায় হলে রিট কারীগণ মহামান্য আপিল বিভাগে গিয়েও তেমন সুবিধা করিতে পারিবেন না কারণ তখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলবে মহামান্য হাইকোর্ট এর রায় acted upon এবং ফলশ্রুতিতে আপীলটি Infractuous হয়ে যাবে।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে, একই ধরনের অন্য আরো একটি রিট পিটিশন নং-১৯২৮/২০২০ যাহা মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের অপর একটি বেঞ্চে শুনানীর তালিকায় অপেক্ষমান রয়েছে।
Discussion about this post