নওগাঁ আদালত প্রতিনিধিঃ
জনাব অ্যাড. শাহানুর ইসলাম সৈকত নওগা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন নিয়মিত সদস্য। নওগাঁয় আদালতের নথি জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় জেলা পরিষদের সদস্য জহুরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অদ্য উক্ত আসমী মোঃ জহরুল ইসলাম আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন পূবক জামিনের আবেদন করে।
জনাব অ্যাড. শাহানুর ইসলাম সৈকত এর দরখাস্তের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নং-০৫, মিস: ০১/২০১৯ (বদলী) মামলা আনয়ন করে। তারপর আজ বেলা দুপুর আনুমানিক: ১:২০-১:২৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞ আদালতে শুনানী হয়। শুনানী অন্তে আসামীর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর আদেশ হয়।
আদালতে দায়েরকৃত দায়ীত্বরত পুলিশ তাহার হাতে হাত কড়া পড়াইয়া আদালত কক্ষ হইতে বাহির করতে থাকে। অতঃপর অ্যাড. শাহানুর আসামীর সামনে আদালত কক্ষ ত্যাগ করাকালে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ০৫ নং আদালতের পূর্ব-দক্ষিণ পার্শ্বের দরাজার সম্মুখে বারান্দায় আসামী ১) মোঃ জহরুল ইসলাম, ২) মোঃ জোবায়ের হোসেন, পিতা- মোঃ জহরুল ইসলাম, ৩) মোসাঃ জোসনা বেগম, স্বামী- মোঃ জহরুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসামী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অ্যাড. শাহানুরকে আক্রমন করে। ১নং আসামী হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাত একত্রিত করিয়া হ্যান্ডকাপ দিয়া মাথার পিছন দিকে আঘাত করে জখম করে। জহুরুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের অর্থাৎ ২নং আসমী হত্যার উদ্দেশ্যে অ্যাড. শাহানুর এর মাথায় ও চোখে মুখে এলোপাথারী ঘুষি মেরে বাম চোখের নিচে গুরুতর রক্ত্যক্ত জখম করে।
অপরাপর আসামীরা আমাকে এলোপাথারী কিলঘুষি মারিতে থাকে। সে সময় নওগা জেলা আইনজীবী সমিতির এডভোকেটগণ ও আইনজীবী সহকারীগণ তাকে আসমীদের কবল থেকে রক্ষা করে। দায়িত্বরত বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোঃ সোহেল রানার নির্দেশে দায়িত্বরত আদলত পুলিশগণ জহুরুল ইসলামের ছেলে জোবায়েরকে আটক করে।
পরবর্তীতে অ্যাড. শাহানুর বারের আইনজীবীগণের সহায়তায় মোটর সাইকেল যোগে নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ শেষে নওগাঁ সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন।
Discussion about this post