বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছর মেয়াদী এলএলএম (পাস) ডিগ্রিধারীদের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়াসহ পাঁচদফা দাবি জানিয়েছে অধিকার বঞ্চিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফোরাম।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফোরামের আহ্বায়ক রামচন্দ্র দাশ বলেন, এরই মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছর মেয়াদী এলএলবি (পাস) ডিগ্রিধারীরা বার কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষায় পাস করে অ্যাডভোকেট হিসেবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। কেউ কেউ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিচারক হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন।
‘অথচ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষিতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (পাস) ডিগ্রিপ্রাপ্তদের ‘অ্যাডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্তি’ পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করে দেয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিধারীরা বেশ বিপাকে পড়েন।’
বয়সসীমা বেঁধে নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস কোর্সের ডিগ্রিধারীরা নিয়মিত রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু দারুল ইহসানের বিরুদ্ধে ওই মামলার আপিল শুনানিতে ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের অ্যাডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্তি না করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। ইংল্যান্ডসহ কমন ল লিগ্যাল সিস্টেম অনুসরণকারী দেশগুলো আইন পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে ৪০ বছর বয়সসীমা সংবিধানের ৪০ ও ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকার ও ১৯৭২-এ আর্টিকেল ২৭(১) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তাই এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি। তাদের বাকি দফাগুলো হচ্ছে- কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের বে-আইনি কার্যক্রমের জন্য সবাইকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করে অনিশ্চয়তায় না ফেলা, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির মধ্যে বৈষম্য তৈরি না করা এবং বার কাউন্সিলের নির্ধারিত এনরোলমেন্ট পরীক্ষা প্রতি ছয় মাস পরপর আয়োজন করা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অধিকার বঞ্চিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম-আহ্বায়ক কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, সদস্য সচিব হেলাল-ই-আজম, সাংগঠনিক সচিব হেলেনা খাতুন ও যুগ্ম- সাংগঠনিক সচিব তাহামিনা নাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post