প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, দেশে আইনের শাসন যদি প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে সমাজ সভ্যতা টিকবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ, প্রশাসন এবং প্রসিকিউশনকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষা এবং জনগনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি একথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আরিফুর রহমান।
আইনজীবী ও বিচারকদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমেরিকাসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই কমন আইন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনজীবীরাই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। বর্তমানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সকল পেশাজীবী সংগঠনসমূহ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করলেও একমাত্র বিচার বিভগের সাথে সম্পৃক্তরা কোন দলের হয়ে কাজ করে না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। এর ফলে বিচার বিভাগ, মানবাধিকার এবং জনগনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আপনাদেরকে (বিচারক) সকল পুরাতন মামলাসমূহ অবিলম্বে নিষ্পত্তি করতে হবে। তা না হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পিপি, জিপিসহ সরকারী আইনজীবীদের যে সন্মানী দেয়া হয় তা সন্তোষজনক নয়। এই কারণে অনেক সময় তারা অন্যরকম ভূমিকা নিয়ে থাকেন। অনেক সময় পাবলিক প্রসিকিউটেরদের কক্ষে আসামী এবং আসামীদের লোকজনদের বসে থাকতে দেখা যায়। এই রকম পরিস্থিতিতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত সম্ভব হয় না।
এর আগে প্রধান বিচারপতি জেলা জজশীপের বিভিন্ন আদালত পরিদর্শন ও আদালতের বিচারকাজ প্রত্যক্ষ করেন।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার মোজাম্মেল এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ফজলে রাব্বী, সিভিল সার্জন ডাঃ রওশন আরা খানম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাকী উল্লাহ, নওগাঁ বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরদার সালাহ উদ্দিন মিন্টু, নওগাঁ’র পিপি আব্দুল খালেক, জিপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজ এবং জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু বেলাল হোসেন জুয়েল বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post