ডেস্ক রিপোর্ট
দুর্নীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, দুর্নীতি সব সমাজেই আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের সমাজে দুর্নীতি দৃশ্যমান।প্রকল্পের দুর্নীতি কমাতে অনেক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
এখনো তেমন কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আইন সবার জন্য সমান করতে পারলে দুর্নীতি কমে যেত। আইন প্রয়োগে কোনো খাতির দেখানো উচিত নয়।
মঙ্গলবার ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি উন্নয়ন সংলাপে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনের কক্ষে অনুষ্ঠিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সংলাপ সঞ্চালন করেন ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহিন।
এমএ মান্নান বলেন, দুর্নীতি কমানো গেলে দারিদ্র্য হার কমবে। চলমান এই সংকটে উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রথম গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিত অবকাঠামো, এরপরই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য।
বিশেষায়িত ক্যাডার নিয়ে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে ক্যাডার ব্যবস্থায় সংস্কার দরকার। সবার জন্যই একই ক্যাডার হলে ভালো হতো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডলারের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত হলে আমি খুশি হব। এর বেশি হলে কষ্টদায়ক হবে। জ্বালানি তেলের দামও ১০০ টাকার মধ্যে থাকলে ভালো হতো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশের লক্ষ্য পূরণ করা যাবে কি না- সেটি নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর। তবে ৭ শতাংশ হলে আমাদের জন্য আনন্দদায়ক হবে। সাড়ে ৬ শতাংশ হলেও খারাপ কিছু হবে না।
তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্বালানি তেল ভয়ংকর একটা জিনিস। এর দামের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তেলের দাম বৃদ্ধি আইএমএফের পরামর্শে করা হয়নি। নিজেদের প্রয়োজনে করা হয়েছে।
তেলের এই দাম এখন কমতে শুরু করেছে। সামনে আরও কমবে। তবে সেটি আগের দামের পর্যায়ে যাবে না।টাকার মান প্রসঙ্গে মন্ত্রী মান্নান বলেন, দীর্ঘদিন কোকের মুখ বন্ধ থাকলে হঠাৎ খোলার পর ফোস করে শব্দ হয়। তেমনি দীর্ঘদিন টাকার মান ধরে রেখে হঠাৎ ছেড়ে দেওয়ায় এত আলোচনা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে হামিদ-উজ-জামান বলেন, অর্থনৈতিক এই সংকটকালে এ ধরনের আয়োজন আমাদের জানার ও রিপোর্টিংয়ের ক্ষুধা মেটাতে ভূমিকা রাখবে। এর ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
Discussion about this post