নিজস্ব প্রতিবেদক:-
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের আজ জন্মদিন। । অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় ১৯৩৭ সালের ২০ এপ্রিল কামাল হোসেনের জন্ম। বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৯৬৪ সালে। তাঁদের দুই মেয়ে সারা হোসেন ও দিনা হোসেন।
কামাল হোসেনের শিক্ষাজীবন শুরু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে (১৯৪৪-৪৯)। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলে মাধ্যমিক এবং নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৫ সালে অর্থনীতিতে ডিগ্রি নেন তিনি।
এরপর ১৯৫৭ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক (সম্মান) এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ ও ১৯৬৪ সালে যথাক্রমে বিসিএল ও ডক্টরেট ডিগ্রি নেন।
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান তৈরির জন্য যে ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ হয়েছিল, ড. কামাল হোসেন ছিলেন সেই কমিটির চেয়ারম্যান। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে তিনি প্রথমে আইনমন্ত্রী, পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৫৯ সালে তিনি ব্যারিস্টারি পাস করে ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।বিশ্বময় আইন আর মানবাধিকার জগতে বাংলাদেশ মানে তিনি ড. কামাল হোসেন। যাকে বলতে হয় , দ্যা লিজেন্ড অফ দ্যা ল । একটি নাম একটি ইতিহাস।এই কিংবদন্তিতুল্য মানুষটার ৮৩তম জন্মদিন আজ।
ড. কামাল হোসেন স্যারের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি একজন পুরোদস্তুর আইনজীবী। অক্সফোর্ড থেকে পিএইচডি আর বিসিএল, লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার-অ্যাট-ল করে ফিরে এসে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৫৯ সালে।

এরপর স্বাধীনতা সংগ্রাম , সংবিধান, গণতন্ত্র, সুশাসন , মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা , আন্তর্জাতিক জ্বালানি, সমুদ্র ও পরিবেশ আইনের একজন অগ্রগণ্য আইনবিশারদ হিসেবে ঈর্ষণীয় বহু অর্জন দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি জাতিসংঘ, কমনওয়েলথসহ শীর্ষস্থানীয় বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে নেতৃস্থানীয় বা পরামর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আরবিট্রেশনের চেয়ারম্যান ও গবেষণা জার্নালের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সমুদ্রসীমা নিয়ে রাষ্ট্রসমূহের বিরোধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি তাঁর অতুলনীয় মেধা, বাগ্মিতা ও ব্যক্তিত্বের কারণে অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছেন। বাংলাদেশকে নিজের কীর্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৌরবান্বিত করেছেন। তাঁর রাজনীতি, আইন পেশা বা সমাজচিন্তা—সবই মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের কাছে আশা-ভরসা আর বিবেকের অনন্য প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।ড. কামাল হোসেন স্যার আজীবন নানা সমস্যায়- সংকটে দেশের আর মানুষের প্রতি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন।
Discussion about this post