আন্তর্জাতিক
মৃত্যু পথযাত্রী কোনো ব্যক্তি বা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্করা এখন থেকে অন্য কারোর সহায়তা নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারবেন অস্ট্রিয়ায়। গত বছরের ডিসেম্বরে অস্ট্রিয়ায় পার্লামেন্টে এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই তা কার্যকর করেছে দেশটি। খবর বিবিবির।
তবে আত্মহত্যার এ নতুন আইনটির ওপর কড়া নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছে অস্ট্রিয়ার সরকার। কেউ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে দু’জন চিকিৎসকের কাছ থেকে নিজের শারীরিক অবস্থার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। এরপরও ওই ব্যক্তিকে নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ১২ সপ্তাহ সময় দেয়া হবে। ১২ সপ্তাহ পরেও যদি কেউ আত্মহত্যার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তাহলে তিনি নিজে গিয়ে বা কাউকে দিয়ে ফার্মেসি থেকে জীবননাশক ওষুধ সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে এখনও অস্ট্রিয়াতে আত্মহত্যায় সহায়তা করাকে দণ্ডনীয় অপরাধের আওতায় রাখা হয়েছে। যথোপযুক্ত প্রক্রিয়া না মেনে যদি কেউ আত্মহত্যায় সহায়তা করেন তবে তিনি এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবেন। এ ছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক কাউকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা যাবে না।
তবে কেউ যাতে আত্মহত্যা না করেন সেজন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে অস্ট্রিয়ার সরকার। যাতে শেষ সুযোগ বা অন্তত একটি বিকল্প পথের অভাবে কেউ আত্মহননের পথ বেছে না নেয়।
এর আগে, সুইজারল্যান্ডেও অন্যের সহায়তায় আত্মহত্যাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই দেশটিতে ব্যথা-বেদনাবিহীন মৃত্যুর জন্য আত্মহত্যা করার যন্ত্র ‘সারকো’কে আইনি অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়াও স্পেন, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে আত্মহত্যাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
Discussion about this post