নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন। মূলত কর্ণফুলি নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে তিনি হাজির হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি হাজির হন
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে তলব করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এস সালাউদ্দিন আহমেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে ওই সব প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
এরপর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা দুই হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ১১ দফা নির্দেশনা দেন।
নানা প্রক্রিয়ার পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী নদীর পাড়ের দুই হাজার ১৮৭ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু বিভিন্ন মহলের চাপে ওই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত এপ্রিলে আবারও হাইকোর্টে আবেদন করে রিটকারী পক্ষ।
কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
ওই রায় অনুসারে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কয়দিন চলার পর তা বন্ধ যায়। এরপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ০৯ এপ্রিল বন্দরনগরী কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের নির্দেশে আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। এরপর আবার আবেদন করা হলে আদালত বন্দর কর্তৃপক্ষকে সময় দেন। সময় পার হয়ে গেলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ফের সময় আবেদন করায় বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ৯ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেন আদালত।
Discussion about this post