এবার বিএনপির চলমান আন্দোলনের ব্যার্থতার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে দায়ী করলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অপরদিকে মির্জা ফখরুলকে বেঈমান বললেন তারেক তারেক জিয়া।
খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার প্রতি তারেকের ৫ই জানুয়ারী’২০১৫ দুপুরের পর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নেন। প্রেসক্লাবে পেশাজীবিদের এক বৈঠকে বক্তব্য রাখার পর বেরিয়ে আসতে গিয়ে প্রতিপক্ষের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রেসক্লাবে পুনরায় ঢুকে যান। রাতভর প্রেসক্লাবের দো’তলায় অবস্থান করেন। তার অবস্থানের কারণে সাংবাদিকদের একটি অংশ তীব্র বিরোধীতা জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রেসক্লাব ঘিরে ফেলে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায় ৫ই জানুয়ারী রাত ১১.০০টার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লন্ডনে বসবাসরত তারেক জিয়াকে মোবাইলে ফোন করেন। ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রেসক্লাব হতে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আশ-পাশ হতে বিএনপি সমর্থকদের প্রেসক্লাবে পাঠাতে তাগিদ দেন।
তারেক জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুল এক পর্যায়ে বলেন: “আপনার ভুল কৌশলের কারণে আজকের কোন কর্মসূচীই ঠিকভাবে এগুনো গেলনা। আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম এই ধরণের হটকারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আপনি ও ম্যাডাম আমার কথা শুনলেন না। এখন আমরা সবাই ঘেরাও হয়ে আছি। রাজনীতি করতে গিয়ে এত অপদস্থ আর সহ্য হয় না”।
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথা শেষ হওয়ার আগেই অপর প্রান্ত থেকে তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলামকে বেইমান বলেন এবং নানা ধরণের অশোভ কথা বলেন। প্রতিত্তোরে ফখরুল ইসলাম বলেন: “তারেক সাহেব আমাকে বেইমান বলবেন না; আমি আপনার কথায় কাজ করতে গিয়েই দেশবাসীর নিকট মিথ্যুক হিসেবে চিহিৃত হয়েছি; এখন আপনি আমাকে বেইমান বলছেন”। সূত্র আরো জানায় যে, পরবর্তীতে গভীর রাতে ফখরুল ইসলাম সরকারের হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ করে; তাকে সুনিশ্চিত হেফাজতে নেয়ার জন্য তাগিদ দেন বলে জানা যায়।
Discussion about this post