পেটে মেদ জমতে খুব বেশী সময় না লাগলেও মেদ থেকে মুক্তি পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।
আর যেহেতু শহুরে কর্মজীবনে বসে সময় কাটে বেশি তাই উদরের বাড়তি মেদ কমানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
পেটের মেদ কমানোর জন্য সাধারণ কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ নিম্নে দেওয়া হলঃ
– মেদ কমাতে দারুণ কার্যকর লেবু। পেটের চর্বি কমাতে চাইলে লেবুর রস খেয়ে সকাল শুরু করা যেতে পারে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে খানিকটা লেবুর রস নিয়ে সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে সকালে খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে এই শরবত খাওয়ার অভ্যাস হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে।
– বাঙালি হয়ে ভাত খাওয়া চলবে না! এ কথা শুনলেই অনেকে আঁতকে ওঠেন। আর ধবধবে সাদা ভাতের প্রতি আকর্ষণই অন্যরকম। তবে পেটের চর্বি কমাতে চাইলে ভাত এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে ‘হোল গ্রেইন’ খাবার, যেমন- লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, ওটস ইত্যাদি খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
– পেটের মেদ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিনিসমৃদ্ধ কোমল পানীয় এবং অতিরিক্ত চর্বি ও তেলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব খাবার শরীরের মেদ বাড়িয়ে দেয়।
– প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ পানি হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং শরীরে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে। তাই পেটের মেদ কমানোর জন্য পানি পান করা জরুরি।
– প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া কাঁচারসুন খেয়ে তারপর এক গ্লাস লেবুর রস মেশানো পানি খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং বাড়তি ওজন তাড়াতাড়ি কমে।
– পেটে যদি চর্বির পরিমাণ বেশি হয় তাহলে আমিষজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। পেটের মেদ কমাতে হলে শাকসবজি ও ফল বেশি খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় প্রচুর পরিমাণে ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ করবে।
– রান্নায় দারুচিনি, আদা, গোলমরিচ ইত্যাদি মসলা ব্যবহার করা ভালো যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এই মসলাগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
Discussion about this post