মহিমা বাঁধনঃ-
“সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চতর শিক্ষা প্রদান”– এ আদর্শে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৩ সালে জনাব আবুল কাসেম হায়দার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সরকার অনুমোদিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি, প্রকৌশলী এবং অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একদল শিক্ষানুরাগী মানুষ মিলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু করেন।
‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০’ অনুসারে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালনা পরিষদের ২০ জন সদস্য সমন্বিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের (বিওটি) উপর ন্যস্ত।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ও আধুনিক ক্লাসরুম সহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি এবং উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। অনুষদের প্রাজ্ঞ- অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, দক্ষ কর্মী বাহিনী, গবেষণা ভিত্তিক জ্ঞানের প্রসার, আন্তর্জাতিক মানের নিয়মানুবর্তিতা এবং দেশে স্বীকৃত উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের আলোকবর্তিকা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি এগিয়ে যাচ্ছে।
ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের “আইন অনুষদ” দেশের অন্যতম আইন শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিতি পেয়েছে। এটি শিক্ষার্থী ও আইন অনুরাগীদের একাডেমিক এবং আদর্শগতভাবে আকৃষ্ট করে। এটি শিক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষাদানে সমাজে স্বতন্ত্র অবদান রাখে।শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের আইনী খসড়া এবং বিচার আদালতের কক্ষে ট্রায়াল অ্যাডভোকেসি সম্পর্কে বিস্তৃত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ‘আইন অনুষদ’ চার বছরের এলএল.বি (সম্মান) এবং এক বছরের এলএল.এম প্রোগ্রাম পরিচালনা করে।
বর্তমানে ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার জাহিদ এবং চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন জনাব এ.বি.এম ইমদাদুল হক খান।
অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে আছেন- ডঃ এম জহিরুল হক, ডঃ মাহফুজ, জনাব ইফতেখার মাহমুদ, জনাব মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, জনাব মোঃ সাইদুল ইসলাম, জনাব তারিক বিন সারোয়ার, মি.শারমিন আক্তার চৌধুরী, মি. শারিফা সায়মা রহমান, মি. রেহনুমা বিনতে মামুন, জনাব আল ইরফান হোসেন মোল্লা, ইসরাত আজিম আহমেদ, জনাব নাহিদ রাব্বি, জনাব মাহবুবুল ইসলাম, মি. মারওয়া সাহিদ আল মেহের, জনাব মোঃ আহসান হাবিব, জনাব নুরান চৌধুরি, মি. ফারজানা ইয়াসমিন মেহনাজ, মি. সুসমিতা দাস প্রমুখ।

ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রায় ২৫ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত। ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং আরও কয়েকটি দেশের ২০ টিরও বেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাডেমিক অংশীদারিত্ব করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্রেডিট ট্রান্সফার’ করে উচ্চতর পড়াশোনা করার সুযোগ পায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল লাইব্রেরি পরিষেবাগুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দিন ও রাতের যে কোনও সময় যেকোনো জায়গা থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অ্যাথলেটিক এবং অন্যান্য আগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬টি পৃথক ক্লাব এবং ফোরাম রয়েছে।
ক্লাব এবং ফোরামগুলো শিক্ষার্থীদের সহ-পাঠ্যক্রমিক এবং অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের আয়োজন করে। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সার্ভিসটি বিনা মূল্যে শিক্ষক -শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাধারণ ও জরুরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।
“সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চশিক্ষা প্রদান” ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সীমাবদ্ধ আয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ দানে প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি অনুসারে– টিউশন এবং অন্যান্য ফি গুলি যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নির্ধারণ করে থাকেন।
আইন বিভাগের এলএলবি ডিগ্রি(৪ বছর) করতে মোট খরচ ৫,৬৪,০০০ টাকা এবং এলএলএম ডিগ্রি(১বছর) জন্য খরচ ৯৭,৮০০টাকা। এলএলবি ডিগ্রির ক্ষেত্রে ক্রেডিট আওয়ার ১৩০ এবং এলএলএম ডিগ্রির ক্ষেত্রে ক্রেডিট আওয়ার ৩৬।
নারী শিক্ষার পথকে সুগম করতে এবং নারী শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেয়ে বা নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১০% কম বেতনে পড়ার সুযোগ রয়েছে।একাডেমিক রেজাল্টের উপর তারা সর্বোচ্চ ৫০% ছাড় দিয়ে থাকে। মহামারীকালে ও দুর্যোগের সময় ১০% কম খরচে ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়।
টিউশন ফি প্রদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়তি কোনো জরিমানা গুনতে হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। বিদ্যমান শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের জন্য ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকল প্রোগ্রামের জন্য ৪০% টিউশন ফি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের আর্থিক সহায়তা ও বৃত্তি প্রদান করা হয়। ইতিমধ্যে মহামারী করোনার কারণে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন কার্যক্রমের মাধ্যমে সফল ভাবে পাঠদান করে যাচ্ছে, যা প্রশংসার দাবিদার।
ভর্তি ফি, আর্থিক সহায়তার বিবরণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিবরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় তার মানসম্মত শিক্ষা, উচ্চতর অনুষদ গঠন, চমৎকার একাডেমিক পরিবেশ, , শিক্ষার্থীদের আন্তরিক যত্ন, বহির্ক্রমিক কার্যক্রম, সফল ইন্টার্নশিপ, চাকরির স্থান নির্ধারণ, আধুনিক ডিজিটাল লাইব্রেরি, সুশাসন এবং সুশিক্ষা প্রদানের জন্য ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।
আরো পড়ুন
Discussion about this post