উত্তরাধিকার বন্টন ও বর্জন বা বহিস্কার নীতি কি?
বহিস্কার নীতি :
যদি কোন অপর ব্যক্তির মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির সম্পর্কিত বা আত্মীয় হন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুকালে উক্ত ব্যক্তি জীবিত থাকলে তিনি জীবিত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হবেন না। এইরূপে প্রত্যেক অবশিষ্টভোগী গুচ্ছ বা গ্রুপ যাহার মাধ্যমে উত্তরাধিকারী হবেন-তিনি অন্যদেরকে বহিস্কার করে থাকেন।
যেমন-পিতা, দাদা, ভ্রাতা এবং ভগ্নিগণকে উত্তরাধিকারী হতে বঞ্চিত করে থাকে এইরূপ কোন পুত্র তার নিজ পুত্র বা কন্যাকে উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত করে থাকেন। বহিস্কার সর্বদা ঘটে থাকে যেখানে দূরবর্তী শ্রেণির উত্তরাধিকারীসহ নিকটবর্তী উত্তরাধিকারীগণ বিদ্যমান থাকেন।
বর্জন নীতি : দূরবর্তী জ্ঞাতিদের প্রথম শ্রেণিটি মৃত ব্যক্তির এমনে সকল বংশধরদের লইয়া গঠিত যাহারা অংশীদার কিংবা অবশিষ্টভোগী কোনটাই নহে। যেমন-
- অধিকতর নিকটবর্তী জ্ঞাতি অধিকতর দূরবর্তীকে বহির্ভূত করে।
- আবার একই ধাপভুক্ত জ্ঞাতিগণের দাবিদারদের মধ্যে অংশীদার ও অবশিষ্টভোগীদের ছেলেমেয়েগণ দূরবর্তী জ্ঞাতিগণের উপর অগ্রাধিকার লাভ করে।
- সুতরাং পুত্রের কন্যার পুত্র একজন অংশীদারের সন্তান হওয়াতে (পুত্রের কন্যা) কন্যার পুত্রের উপর যে একজন দূরবর্তী সন্তান (কন্যার কন্যা)-অগ্রাধিকার লাভ করে। ১৯৬১ সালের পারিবারিক অধ্যাদেশের ৪ ধারা মুসলিম উত্তরাধিকারী আইনের যুগান্তকারী পরিবর্তন করা হয়েছে।
- এই আইন প্রণয়নের পূর্বে দাদা, দাদী বা নানা নানী জীবিত থাকে তাদের কোন পুত্র বা কন্যা সন্তান রেখে মারা গেলে উক্ত সন্তানগণ তাদের মৃত পিতার বা মাতার অর্থ্যৎ দাদা দাদী বা নানা নানীর সম্পত্তির উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত হবেন।
- উক্ত আইন মোতাবেক ১৫ জুলাই ১৯৬১ ইং তারিখ হতে উক্ত সন্তানগণ তাদের মৃত পিতা বা মাতার পিতা বা মাতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসাবে প্রাপ্ত হবেন। তাদের মৃত পিতা বা মাতা যে হারে সম্পত্তি পেতেন তারাও সে হারে সম্পত্তি পাবেন। উক্ত অধ্যাদেশ উত্তরাধিকারী বন্টনের Per strip নীতি গ্রহণ করেছে।
লেখকঃ ল ফর ন্যাশনস, ইমেইলঃ lawfornations.abm@gmail.com মোবাইল: 01842-459590
Discussion about this post