নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন, টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং চলচ্চিত্রের খলনায়ক ইলিয়াস কোবরাসহ ৯১ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে রবিবার পাঠানো পৃথক দুটি চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হিসাব স্থগিত করতে বলা হয়। একই সঙ্গে বিগত দিনে এসব অ্যাকাউন্টে যেসব লেনদেন হয়েছে, তার তথ্য দিতে বলা হয়েছে। তবে তাদের আওতাধীন সরকারি কার্যক্রম সংক্রান্ত হিসাবের লেনদেন চালু থাকবে।
বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। যাদের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলার আসামি। হিসাব স্থগিত হওয়া অন্যরা হলেন- সিনহা মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্ত হওয়া ইন্সপেক্টর মো. লিয়াকত আলী, চুমকী কারান, প্রতীম কুমার দাশ, প্রতুশ কুমার দাশ এবং দিলীপ।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে সোমবার রাতে কক্সবাজারের এসপির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অপর একটি চিঠিতে আরও ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। বিদেশে টাকা পাচারের ব্যাপারে তাদের তদন্ত চলছে।
তারা হলেন- প্রশান্ত কুমার হালদার, আশুতোষ চৌধুরী, উৎপল মজুমদার, বাসুদেব ভট্টাচার্য, পাপিয়া ভট্টাচার্য, প্রিতিশ কুমার হালদার, প্রশান্ত দেউরি, অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, রাজিব সোম, শিমু রায়, রতন কুমার বিশ্বাস, অনিতা কর, উজ্জল মল্লিক, অনঙ্গ মোহন রায়, সোমা ঘোষ, অমল চন্দ্র দাস, সুদেব কুমার ভৌমিক, সঞ্জীব কুমার হালদার, সুব্রত দাশ, শুভ্রা রানী ঘোষ, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অতশী মৃধা, সুস্মিতা সাহা, গোপাল চন্দ্র গাঙ্গলী, রাম প্রসাদ রায়, শঙ্খ ব্যাপারী, অভিজিত অধিকারী, সুকুমার সাহা, অনিন্দিতা মৃধা, রাম প্রসাদ, মিলন কুমার দাশ, অমল কৃষ দাস, অরুন কুমার কুণ্ড, লীলাবতী হালদার, অবন্তিকা বড়াল, মোহাম্মদ আবু রাজিব মারুফ, ইরফান উদ্দিন আহমেদ, শাহনাজ বেগম, জামিল মাহমুদ, ইমাম হোসেন, একেএম শহীদ রেজা, শওকত রেজা, জোবেদা বেগম, নাহিদা রেজা, একেএম হারুন অর রশিদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, মো. শাহাদাত হোসেন, জামাল উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, মশিউর রহমান, সাব্বির আহমেদ, মো. মনিরুল ইসলাম, আসমা সিদ্দিক, কাজী মাহজাবিন মমতাজ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সোলায়মান চৌধুরী, মো. কামরুজ্জামান, মো. ইকবাল সাইদ, রেজাউর রহমান, মিজানুর রহমান, মিসেস সৈয়দা রুহি গজনভী, এম নুরুল আলম, মো. নওশের-উল-আলম, মমতাজ বেগম, আফরোজা সুরাইয়া মজুমদার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কাজী মমরেজ মাহমুদ, ওমর শরীফ, মোস্তাইন বিল্লাহ, শাহ আলম শেখ, শেখ মাইনুল ইসলাম মিঠু, তোফাজ্জল হোসেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মাহফুজ রহমান বেবী, ইনসান আলী শেখ, হাফিজা খানম, এনএম পারভেজ চৌধুরী, মো. রেজাউল করিম এবং ইরফান আহমেদ খান।
বিএফআইইউর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর (২৩)১ ধারায় ক্ষমতাবলে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা হল।
এছাড়া তিন কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব পরিচালনার তথ্য পাঠাতে হবে। যেসব তথ্য পাঠাতে হবে, এর মধ্যে রয়েছে হিসাব খোলার ফর্ম, কেওয়াইসি, ট্রানজেকশান প্রোফাইল, শুরু থেকে লেনদেনের তথ্য বিবরণী।
Discussion about this post