ডেস্ক রিপোর্ট
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কলেজছাত্রীকে (২১) হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার অটোরিকশাচালক মো. রুবেল (২৮)। গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি জবানবন্দি দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমন গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগটি স্বীকার করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রুবেলকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটের জামাইয়েরটেক থেকে কলেজছাত্রীর মুঠোফোন ও পাশের এলাকা থেকে দুটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। এরপর রুবেল ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রুবেল জানিয়েছেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই কলেজছাত্রী রুবেলের অটোরিকশায় ওঠেন। রুবেল স্বাভাবিক চলাচলের রাস্তায় না গিয়ে বিকল্প আরেকটি রাস্তায় যেতে থাকেন। ওই ছাত্রী এতে আপত্তি জানালে রুবেল জানান, সেটি সবচেয়ে সোজা রাস্তা। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী রিকশা থেকে নেমে খেতের মধ্য দিয়ে হাঁটা শুরু করেন। এ সময় রুবেল পেছন থেকে তাঁর মুখ চেপে ধরেন। একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং সেখানে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুর জাহান বেগম আসামি রুবেলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আদালতের নির্দেশে রুবেলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রুবেল পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের স্নাতক শ্রেণির এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ। পরে গতকাল ভোরে প্রযুক্তির সহায়তায় সুবর্ণচর উপজেলা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ।
Discussion about this post