ক্রীড়া প্রতিবেদক: শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণেই তিন ক্রিকেটারকে ডাকা হয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে। এই তিন ক্রিকেটার সাব্বির রহমান রুম্মন, নাসির হোসেন এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, আজ শনিবার ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে ডাকা হয়েছে, শনিবার সকাল ১১টায় ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে হাজির হতে হবে এই তিন ক্রিকেটারকে।
তবে আজ শুনানির সময়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিসিবি পরিচালক, ডিসিপ্লিনারি কমিটির অন্যতম সদস্য জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘১১টার পরিবর্তে শুনানির সময় পরিবর্তন করে নেয়া হয়েছে বিকাল ৩টায়। কারণ, দুপুর ১২টায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের একটি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ওই মিটিংয়ের পরই ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে তিন ক্রিকেটারের শুনানি হবে।’
বিদেশি ক্রিকেটার নির্ধারণসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আজকের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে অন্য একটি সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে, বিপিএলের মিটিংয়ের চেয়ে আজ সবার আগ্রহের কেন্দ্রে, ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে ডাকা তিন ক্রিকেটারের ভাগ্য কি হতে পারে তা নিয়ে।
সাব্বির এর আগেও বেশ কয়েকবার শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবুও তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠছে। নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নারি কেলেঙ্কারির। অন্যদিকে মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন ময়মনসিংহের আদালতে।
আজ ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে শুনানির পরই জানা যাবে কি শাস্তি হচ্ছে এই তিন ক্রিকেটারের। তবে আগেরদিনই বিসিবি পরিচালক এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য জালাল ইউনুস বলেছিলেন, ‘নাসির এখন তার অপারেশনের পর ঘরে বিশ্রামে। আর মোসাদ্দেকের বিপক্ষে তার স্ত্রীর করা নারী নির্যাতনের মামলাটি আদালতে। এখন আদালতে গড়ানো কোন ইস্যু নিয়ে কথা বলার অবকাশ নেই। আদালতই সিদ্ধান্ত দেবেন মোসাদ্দেক দোষী না নির্দোষ। আইনের চোখে দোষী সাব্যস্ত হলে মোসাদ্দেককে অবশ্যই শাস্তি দেবে বিসিবি। তবে সেটা এখন নয়। তার বিষয়ে আদালত কি সিদ্ধান্ত দেন তার উপরে নির্ভর করবে আমাদের (বোর্ডের) সিদ্ধান্ত।’
সাব্বির-নাসিরের ব্যাপারে জালাল ইউনুস জানান, ‘নাসিরের ব্যাপারে কথা হল যেহেতু সে আপাতত খেলার অবস্থায় নেই তাই তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করাটাও অযৌক্তিক। বাকি থাকলো সাব্বির। তাকে এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পাশাপাশি অর্থ দণ্ডেও দন্ডিত হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আচরণে বড় কোন পরিবর্তন আসেনি। আবারও তার বিরুদ্ধে বলগাহীন ও শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণের অভিযোগ। তাই আমরা তাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রিকেটের বাইরে রাখার চিন্তাভাবনা করছি।’
তবুও, সবাই আজ তাকিয়ে ডিসিপ্লিনারি কমিটির দিকে। শুনানির পর কি সিদ্ধান্ত নেন তারা, সেটারই অপেক্ষায় সবাই।
Discussion about this post