ডেস্ক রিপোর্ট:
ঢাকা-বরগুনা নৌরুটের এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
সোমবার র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অগ্নি দুর্ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রোববার দুপুরে নৌপরিবহন আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম এ পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও মৃত্যুবরণ করেছেন। এর জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল। লঞ্চটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও শত শত যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি চালায় কর্তৃপক্ষ। ফলে এক বিভীষিকাময় ঘটনার জন্ম হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ও একজন আইনজীবী হিসেবে এ ট্রাজেডির সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচারের জন্য স্বেচ্ছায় এ মামলাটি করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের কাছে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লঞ্চটি।
শনিবার বেলা ১১টায় সার্কিট হাউজ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাযে জানাজা শেষে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পোটকাখালী গণকবর তৈরি করে শনাক্তহীন ২৭টি লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
Discussion about this post