সারাদেশের প্রতিবাদের সাথে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে অংশ গ্রহন করলেন গাজীপুর সদরের ভাওয়াল গড়ের সচেতন নাগরিক সমাজ । আজ সকাল দশটায় ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের মেম্বার বাড়ি নামক স্থানে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে, নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে, প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমে আসে শিশু, বৃদ্ধ, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমাজের সচেতন মানুষেরা ।
বক্তব্য দিতে গিয়ে সবার মধ্যেই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে অগ্নি ঝড়া কথার প্রতিধ্বণি ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে । শিক্ষক ও সমাজ সেবক ফজর আলীর সঞ্চালনায় ও গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজ সেবক ফিরোজ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে কথা বলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজকর্মী ফয়সাল আহমেদ ।
ফয়সাল আহমেদ বলেন –ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে যে যেখানে কোনো নারীকে উত্যোক্ত করতে দেখবে তখনই প্রতিহত করতে হবে । তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতেই হবে এ কাজে ।
পর্যটক সফি কামাল বলেন –ধর্ষন বন্ধে সামাজিক ও পারিবারিক দায়বদ্ধতা বাড়াতে হবে । রাষ্ট্রের উপর সব দায়িত্ব ছেড়ে দিলে পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে । সুতরাং দায়িত্বের জায়গায় আমরা কঠোর হলেই কেবল ধর্ষণের মত অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ কর্মী ও কলামিস্ট সাঈদ চৌধুরী আলোকপাত করেন পুরো বিচারিক ব্যবস্থা ও জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিকের দায়িত্বের বিষয়ে । জনপ্রতিনিধিরা যদি এমন মানব বন্ধনে এসে দাঁড়িয়ে যান তবে তার অনুসারীরাও খারাপ কাজ করতে ভয় পাবে । তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাহরণ টেনে বলেন আমাদের জাতির নায়ক ডাক দিয়েছেন বলেই আমরা একত্র হয়ে মুক্তিযদ্ধে অংশ নিতে পেরেছিলাম । দেশ স্বাধীন হয়েছিল । তিনি অনুরোধ করেন যদি প্রমাণিত ধর্ষক হয় তবে যেন কোন আইনজীবী তার জন্য কোর্টে না দাঁড়ায় ।
মুক্তিযোদ্ধা কলেজের সহকারি অধ্যাপক কামরুজ্জামান শিক্ষকদের ভূমিকা ও দায়িত্বের জায়গা থেকে বর্তমান অবস্থাকে বিশ্লেষন করেন । তার কথায় উঠে আসে প্রতিটি জায়গায় কিভাবে কাজ করলে আস্তে আস্তে আমরা এ অভিশাপ থেকে বের হয়ে আসতে পারবো সে বিষয়গুলো ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ও কথা বলেন, বিরাজমান লিমিটেডের সিইও এবং কলামিস্ট সোলায়মান মোহাম্মদ, লেখক ও সমাজ কর্মী দেলোয়ার সরকার, নির্মাণ শিল্পের কর্ণধার স্থপতি শারজিল হোসেন শান্ত, ছাত্রলীগ গাজীপুর সদর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসাইন, শিশু সাহিত্যিক মিশকাত রাসেল, আবাবীল একাডেমির পরিচালক ও প্রধান আজিজুল হক ও আরও অনেকে ।
সভপতির সমাপ্তি ভাষনে ফিরোজ মিয়া বলেন –মাননীয় সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সবাই চাইছে ধর্ষণ, দুর্নীতি বন্ধ হোক । গাজীপুরে অনেক বহিরাগত থাকে এবং তারা অনেকেই ঠিকানা বিহীন । যার কারণে অপরাধ বাড়ছে । তিনি ভাড়াটিয়াদের খোঁজ রাখার ব্যপারে বাড়িওয়ালাদের প্রতি দৃষ্টিপাত দেন । তিনি বলেন ধর্ষণ ও নীতিহীনতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে কেউ কেউ ভিন্নখাতে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে । এরা মূলত দেশের শত্রু । আমাদের এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে হাঁটতে হবে।তবেই সুন্দর বাংলাদেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে ।
Discussion about this post