বিডি ল নিউজঃ
প্রশ্ন উঠেছে বকশীবাজার থেকে গুলশান থানা কত দূর? কারণ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় গত আট দিনেও প্রেপ্তারি পরোয়ানা পৌঁছায়নি বকশীবাজারের বিশেষ আদালত থেকে গুলশান থানায়। আর এবার আরো এক মাসের জন্য পরোয়ানা বহাল করা হল। এখন দেখার বিষয় এই পরোয়ানা পরবর্তী একমাসে পৗঁছায় কী না।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অর্ফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্থাপিত ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার। আর সেই মামলার তারিখ ছিল ৪ঠা মার্চ বুধবার। এই আট দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গুলাশান থানায় পৌঁছায়নি।
আদালত বুধবার এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন না তুলে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিইে মামলার শুনানি করেন। আর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন নথিভুক্ত করে পরোয়ানা বহাল রাখেন। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে একমাস পর ৫ এপ্রিল। আর তার মানে হল এবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বকশীবাজার থেকে গুলশান যেতে অন্তত: আরো এক মাস সময় হাতে আছে।
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির চার দিন পর ১ এপ্রিল রোববার পুলিশের আবেদনে খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয় তল্লাশির যে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালত, সেই তল্লাশি পরোয়ানা এরইমধ্যে গুলশান থানায় পৌঁছে গেছে প্রায় একই দূরত্ব হওয়ার পরও।
পরোয়ানা পৌঁছানোর পদ্ধতি ও সময় নিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পরোয়ানার কাগজ আদালতের জিআর( গভর্নমেন্ট রেকর্ড) সেকশনে চলে যায়। সেখান থেকে পরোয়ানা জিআর সেকশনের কর্মচারির মাধ্যমে হাতে হাতে( বিশেষ বাহক মারফত) সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছে দেয়া হয়। এটাই নিয়ম।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাধারণত ঢাকা শহরের মধ্যে এই গ্রেপ্তারি পওরোয়না জারির ২/৩ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যায়। আর খুব বেশি দেরি হলে পরদিন।’ তাহলে কী কারণে আট দিনেও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বকশীবাজার থেকে গুলশান থানায় পৌঁছলন না জানতে চাইলে তিনি প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না, বিশেষ কোন কারণ হয়তো আছে।’
আর বুধবার দুপুরে বিশেষ আদালতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কেন আট দিনেও পৌঁছায়নি তা আমি জানব কীভাবে। এটা আদালতের বিষয়।’ তবে দুদকের আইনজীবীরা গ্রেপ্তারি পরোয়না গুলশান থানায় না পৌঁছান এবং তামিল না হওয়া সম্পর্কে আদালতে কোন প্রশ্ন তোলেন নি। আর আদালও কোন কথা বলেননি এ নিয়ে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমার জানামতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এখনো গুলশান থানায় পৌঁছায়নি।’ কেন পৌঁছায়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ এটা আদালত আর গুলশান থানার বিষয়।’
আর খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আমরা এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অবৈধ মনে করি। তারপরও বকশীবাজার থেকে গুলশান থানার যা দূরত্ব তাতে পরোয়ানা আট দিনে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেন গেল না? তাতো সরকার বলতে পারবে। তারাই জানে এরমধ্যে রহস্য কী?’
তিনি আরো জানান, ‘বুধবার আদালত বাই দুদকের আইনজীবীরা এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না পৌঁছান বা তামিল না হওয়া সম্পর্কে নীরব ছিলেন, কোন প্রশ্ন তোলেননি।’
Discussion about this post