নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও নির্বাচনে গণফোরাম থেকে বিজয়ী দুজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন। তবে, গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুজন সংসদ সদস্য শপথ নেবেন কি না এ বিষয়ে এথনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
শনিবার দলের এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, তারা বিষয়টি ‘ইতিবাচক’ দৃষ্টিতে দেখছেন এবং ‘ইতিবাচক’ সিদ্ধান্ত নেবেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও আদালত- কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গত ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যাদের নির্বাচিত বলে ঘোষণা করেছে তারা কেউই নির্বাচিত নয়। এবং যাদের গেজেট প্রকাশ করেছে তারা কেউই জনপ্রতিনিধি নয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে এই নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছি। অবিলম্বে নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাই।
তিনি আরো বলেন, তা না হলে ঐক্যবদ্ধ জনগনকে সাথে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের হারানো গণতন্ত্র পুনরোদ্ধার করবো। জনগন ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন, কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
ভোটে বিজয়ী গণফোরামের দুই প্রার্থী হলেন সিলেট-২ আসন থেকে মোকাব্বির খান ও মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এর মধ্যে সুলতান মনসুর বিজয়ী হয়েছে ধানের শীষ প্রতীকে। তাদের মতে সংসদের বাইরে শুধু নয় সংসদের ভেতরে থেকেও সরকারের সমালোচনা করা প্রয়োজন। এই যুক্তিতে শপথ নিতে চান তারা।
এর আগে সকালে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন গণফোরামের নেতা ড. কামাল। বৈঠক শেষে বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গণফোরামের দুই প্রার্থীর শপথ নেয়ার বিষয়ে তারা ইতিবাচক। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর ও গণফোরাম নেতা লতিফুল বারী হামিমও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Discussion about this post