ডেস্ক রিপোর্ট
গাজীপুরের শ্রীপুরে ২০০২ সালে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আসামি কাজিম উদ্দিনকে যত দ্রুত সম্ভব কনডেম সেল থেকে বের করে সাধারণ সেলে নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাইমেন বকস্ (এস এম বকস্ কল্লোল), রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
বুধবার (১৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রায় দেন।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের মো. কাজিম উদ্দিন তার স্ত্রী খোদেজা বেগমকে ২০০২ সালের ৩ আগস্ট আইনজীবী ও আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন। এর এক সপ্তাহ পর ১০ আগস্ট খোদেজা বেগমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন কাজিম উদ্দিন।
এই হত্যাকাণ্ডের সময় স্থানীয় জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। জনতা তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায়। কিন্তু তিনি বেঁচে যান। এরপর পালিয়ে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে যান। তবে ভারতে না গিয়ে গাজীপুরে ফিরে এসে ২৪ আগস্ট থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
এই ঘটনায় খোদেজার ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় বিচার শেষে গাজীপুরের আদালত ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট কাজিম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি আসামি হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। পরে জেল আপিল করেন আসামি। শুনানি শেষে বুধবার তার দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেন আপিল বিভাগ।
Discussion about this post