বিভিন্ন বিধানসমূহ
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের অধীনে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দুই ধরনের হয়ে থাকে ।যথা
(ক) প্রতিকারমুলক এবং
(খ) রক্ষামুলক ।
প্রতিকার সম্পর্কীয় অধিকার সমুহের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিকার হল বেদখল হওয়া স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার এর প্রতিকার ।
ঘোষণামূলক মামলা ও ডিক্রী সংক্রান্ত বিধান
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারা সমুহে
ঘোষণামূলক মামলার বিধান করা হয়েছে ।৪২ ধারায় দায়েরকৃত ঘোষণামূলক মামলায় যে ডিক্রী প্রদান করা হয় তাকে ঘোষণামূলক ডিক্রী বলে ।ঘোষণামুলক ডিক্রী পাওয়ার শর্তাবলী ;
(১) বাদীর কোন আইনগত পরিচয় বা সম্পত্তিতে স্বত্ব থাকতে হবে ।
(২) স্বত্বের অধিকার আইন থেকে সৃষ্টি হতে হবে । চুক্তি থেকে সৃষ্টি হলে চলবেনা।
(৩) বিবাদী এই আইনগত সম্পত্তিতে অধিকার করবে বা অস্বীকার করার আগ্রহ প্রকাশ করবে ।
(৪) যে ক্ষেত্রে বাদী শুধু মাত্র তার সত্তের ঘোষণা ছাড়া অন্য কোন প্রকার চাইতে পারতেন বাদীকে তা চাইতে হবে ।ঘোষণামূলক ডিক্রী এবং জারী মামলা: ;যদি ঘোষণামুলক ডিক্রী হয় সে ক্ষেত্রে জারী মামলার প্রয়োজন পরেনা। যে সকল ঘোষণামুলক ডিক্রী শুধুমাত্র পক্ষগনের অধিকার ঘোষণা করে তা নিজে নিজেই সম্পাদনযোগ্য এবং জারী মামালার প্রয়োজন পরেনা ।
- ♣ কোর্ট ফিঃ ফিক্সড (৩০০ টাকা)
- ♣ ঘোষনামুলক মোকদ্দমার তামাদি কাল ৬ বছর।
- ♣ঘোষনামুলক মোকদ্দমা ২ টি ক্ষেত্রে করা হয়-
- ১. স্বত্ব ও মর্যাদার অধিকার এর ক্ষেত্রে;
২. পদের অধিকারের ক্ষেত্রে; -
♣ এ মোকদ্দমায় ডিক্রিজারির প্রয়োজন নেই।
- ♣ ৮ ধারার ‘স্থাবর সম্পত্তির স্বত্ব অর্জনের মামলা’ করতে হলে ৪২ ধারা অনুসরণ করতে হয়।
- ♣ ৪২ ধারার ‘ঘোষনামুলক মোকদ্দমায়’ ৮ ধারার কোন প্রয়োজন নেই।
- ♣ ৪২ ধারার ‘ঘোষনামুলক মোকদ্দমায় ‘ আনুসঙ্গিক প্রতিকার চাওয়া বাধ্যতামূলক যদি তা চাওয়া না হয় তবে আদালত কোন প্রতিকারই মুঞ্জুর করবেন না
- ♣ ঘোষণামূলক মামলা মোকদ্দমা কে বিজ্ঞাপনী মোকদ্দমাও বলা হয়।
Discussion about this post