ডেস্ক রিপোর্ট
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলনে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মানবদেহে আঘাতসংক্রান্ত মামলায় ভুক্তভোগীকে সাক্ষী করা, জালিয়াতির মামলা সঠিক ধারায় করার এবং আলোচিত মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার আগে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির মতামত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম আগের সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাগুলোর সুষ্ঠু বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
দক্ষতার সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করা, প্রতিবেদন জমা, যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
মো. রবিউল আলম আরও বলেন, যেসব আসামির বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা হয়নি এবং যাঁরা কোনো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত নন, তাঁদের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটদের দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডারস অ্যাক্ট, ১৯৬০–এর বিধানগুলো অনুসরণ করতে হবে। ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ একে অপরের পরিপূরক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিচার বিভাগকে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বলে উল্লেখ করেন রবিউল আলম। তিনি মনে করেন, বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ানো ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে হবে।
একযোগে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বিচারপ্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কারও অবহেলা কাম্য নয়।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বেগম মনীষা মহাজন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমান এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন। পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এডিসি (প্রসিকিউশন) মো. কামরুল হাসান, এডিসি (অপরাধ) জহিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুল হাসান এবং মহানগরের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পিবিআইয়ের (চট্টমেট্রো) পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ জুনায়েত কাউছার, র্যাব-৭–এর পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খায়ের ফকির এবং সিআইডির পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার আবদুছ ছালাম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবদুল মন্নান, ফরেনসিক মেডিসিনের প্রভাষক এস কে ধর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (মেট্রো) সহকারী পরিচালক মোমেন মণ্ডল এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার বেগম পারুমা বেগম।
Discussion about this post