অফিস ডেস্ক
১৯ জানুয়ারী ২০২১ চতুর্দশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী জজ পদে নিয়োগ দেয়া হবে ১০০ জন। আবেদনপত্র পূরণ ও জমাদান শুরুর তারিখও সময়ঃ২১/০১/২০২১ খ্রিস্টাব্দ মধ্যাহ্ন-১২.০০ ঘটিকা , শেষ তারিখ ও সময়ঃ১৫/০২/২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ রাত-১১.৫৯ ঘটিকা।
পদের নাম : সহকারী জজ।
পদের সংখ্যা : ১০০টি। (বিধি অনুযায়ী পদ সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি পেতে পারে।)
আবেদনের যোগ্যতা : আইন বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতক বা দ্বিতীয় শ্রেণীর এলএলএম ডিগ্রি থাকলে আবেদন করা যাবে।
বেতন স্কেল : ৩০৯৩৫-৬৪৪৩০/- ও অন্যান্য সুবিধাদি।
বয়সসীমা : ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখে বয়সসীমা অনধিক ৩২ বছর। এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল সনদপত্র অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত হবে।
পরীক্ষায় অবতীর্ণ প্রার্থী : আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) অথবা এলএলএম ডিগ্রি পরীক্ষায় অবতীর্ণ কোনো প্রার্থী আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। তবে ওই পরীক্ষা আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখে বা তৎপূর্বে শেষ হতে হবে।
প্রার্থীর শারীরিক যোগ্যতা : সহকারী জজ পদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রার্থীকে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে। ওই দায়িত্ব পালনে বাধা হয় এরূপ দৈহিক বৈকল্য আছে কি-না তা যাচাই এবং প্রত্যয়নের নিমিত্ত প্রার্থীকে স্বাস্থ্য অধিতফতর কর্তৃক গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড বা মনোনীত মেডিকেল অফিসারের সম্মুখে উপস্থিত হতে হবে।
প্রার্থীর জাতীয়তা : প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক বা বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা বা বাংলাদেশের উড়সরপরষবফ হতে হবে। কিন্তু প্রার্থী যদি এমন কোনো ব্যক্তিকে বিবাহ করেন বা বিবাহ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, তাহলে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
প্রাথমিক বা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা : সহকারী জজ পদে অংশ নিতে সব প্রার্থীকে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি/প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ওই পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি এমসিকিউ প্রশ্নে নম্বর থাকবে ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। কোটার সুবিধাভোগী প্রার্থীসহ সব প্রার্থীকেই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রাক-যোগ্যতা হিসেবে প্রিলিমিনারি/প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রাথমিক পরীক্ষায় সাধারণ বাংলা, সাধারণ ইংরেজি, সাধারণ গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এবং আইন বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে। প্রাথমিক বা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৫০। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই কেবল লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
লিখিত পরীক্ষা : ত্রয়োদশ বিজেএস পরীক্ষায় ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয় ও আইনের বিষয়ের ওপর লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে।
এর মধ্যে আইন বিষয়ে দেওয়ানি মামলা সংক্রান্ত আইন, অপরাধ সংক্রান্ত আইন, সাংবিধানিক আইন, জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট ও আইনের ব্যাখ্যার ধারণা, সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন, পারিবারিক সম্পর্ক বিষয়ক আইন এবং ঐচ্ছিক আইনসমূহ বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ৩০ শতাংশের কম নম্বর পেলে ওই প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য ধরা হবে।
প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকে : লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে প্রার্থীকে অবশ্যই আইন-সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। প্রস্তুতি নিতে মনোযোগসহকারে অষ্টম, নবম-দশম থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবই পড়বেন। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভালো করতে হলে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি পড়তে হবে পত্রিকা। আইন অংশে ভালো করতে পড়তে হবে সম্মান শ্রেণীর আইন সম্পর্কিত বই।
বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার জন্য বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয় ও তথ্যসমৃদ্ধ ফিচার, প্রতিবেদন পড়তে হবে। এ ছাড়া অনুশীলন করতে পারেন বিগত সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন। গণিত ও বিজ্ঞানের প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। এ জন্য নিয়মিত অষ্টম থেকে নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বই থেকে অঙ্কের সমাধান চর্চা করবেন। পারিবারিক আইন বিষয়ে ফারায়েজের ওপর প্রশ্ন আসতে পারে।
মৌখিক পরীক্ষা : লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে প্রার্থীদের ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষায়। এ জন্য প্রার্থীদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। পরীক্ষায় ব্যক্তিগত ও আইনি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ভাইভা পরীক্ষার জন্য প্রতিটি প্রশ্ন ভালোভাবে শুনে প্রশ্নকর্তার চাহিদা অনুযায়ী উত্তর দেবেন। ভাইভায় নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে শালীন ও রুচিশীলভাবে। ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৫০।
প্রাথমিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার কেন্দ্র, তারিখ ও সময়সূচি কমিশনের ওয়েবসাইটসহ দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি মারফত জানানো হবে।
চতুর্দশ বিজেএস পরীক্ষার আবেদনপত্র পূরণ : প্রার্থীকে চতুর্দশ বিজেএস পরীক্ষার আবেদনপত্র (bjsc.gov.bd) অন লাইনে পূরণ করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও ফি জমা দেয়া শেষ করতে হবে।
পরীক্ষা ফি প্রদানের শুরুর তারিখ ও সময়ঃ২১/০১/২০২১ রাত ১২টা এবং পরীক্ষার ফি প্রদানের শেষ তারিখ ১৭/০২/২০২১ রাত ১১.৫৯ মিনিট।সফলভাবে আবেদনটি জমা হওয়ার পর টেলিটক ফোন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন ফি ১২০০/-টাকা জমা দিতে হবে।
Discussion about this post