ক্রীড়া ডেস্ক: ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন নয়। এই তালিকায় যোগ হলেন আহমেদ শেহজাদ। গত এপ্রিলে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ডোপ পরীক্ষা হয় পাকিস্তান ওপেনারের। পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার পরও পিসিবি একটু অপেক্ষা করেছে। নিষিদ্ধ বস্তুর উপস্থিতি আরও নিশ্চিত হতে ভারতের গবেষণাগারেও পাঠায় পিসিবি। সেখানেও অভিন্ন ফল আসায় এবার শেহজাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল পিসিবি।
অ্যান্টি ডোপিং নিয়ম ভাঙ্গার অপরাধে আহমেদ শেহজাদকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সিনিয়র ক্রিকেটার বলেই পাকিস্তানে শেহজাদের ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ হওয়ার পরও পিসিবি হুট করে সিদ্ধান্ত নিতে চায়নি। এখন যেহেতু দুই গবেষণাগারেই প্রমাণিত, তাই চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ হলেন ১৩ টেস্ট, ৮১ ওয়ানডে ও ৫৭ টি-টোয়েন্টি খেলা এ পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
শেহজাদের শাস্তি ২০১৮ সালের ১০ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে। সব ধরনের ক্রিকেটে শেহজাদের এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে নভেম্বরের ১০ তারিখে। এর মাঝের সময়টাকে শেহজাদকে পুনর্বাসনে রাখবে দেশটির বোর্ড।
পাকিস্তানের অ্যান্টিং ডোপিং আইনের দুটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন শেহজাদ। তবে অভিযোগ মেনে নিলেও শেহজাদ জানান, পারফরম্যান্স ভালো করার উদ্দেশ্যে তিনি কোন প্রতারণা করেননি।
ডোপিং করার নিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি বলেন, ডোপিংয়ের বিষয়ে পিসিবি ক্রিকেটারদের এক চুল পরিমানও ছাড় দেবে না।
প্রসঙ্গত, ডোপ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো নয়। ক্রিকেটারদের ডোপ নেওয়া প্রমাণিত হওয়ায় অতীতে বেশ কয়েকবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে পিসিবিকে। ২০০৬ সালে ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানকে লজ্জায় ফেলে দেন তাদের দুই তারকা বোলার শোয়েব আখতার ও মোহাম্মদ আসিফ। এ ঘটনায় শোয়েব ও আসিফ দুজনই এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। তবে শাস্তির বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে একই পাপে নিষিদ্ধ হয়েছেন রাজা হাসান, ইয়াসির শাহ, আবদুর রেহমানও।
Discussion about this post