ডেস্ক রিপোর্ট
চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের (৫৮) ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও ৬ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ভিডিওটি যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। একইসঙ্গে বিটিআরসিকে এ বিষয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কে নিজ ফ্ল্যাটে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন আবু মহসিন খান। এ ঘটনার ভিডিও দ্রুতই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ওই বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মহসিন খানের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসিন খান। রাত ৯টার দিকে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মহত্যা করার আগে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন আবু মহসিন খান। এসময় তিনি জীবনের নানা হতাশা ও দুঃখের কথা তুলে ধরেন।
এরইমধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন।
সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে টাইপ করা সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি। এছাড়া দরজার সামনে লেখা ছিল ‘মামা দরজা খোলা হাতলের হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে ভিতরে ঢুক’। সুইসাইড নোটগুলো ধানমন্ডি ক্রাইম টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সিআইডির কাছে রয়েছে।
এ আত্মহত্যার ঘটনায় মহসিন খানের পরিবারের এক সদস্য বুধবার রাতেই ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
Discussion about this post