♠এম আই মিরাজ
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৫ হাজার ৯৭২ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশিত হয়।
বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আইনজীবী তালিকাভুক্তির মৌখিক পরীক্ষা গত ৩১ আগস্ট শুরু হয়ে চলে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফল প্রকাশের কথা জানায়। এখন উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই থেকে এ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে ১৫ জুলাই বার কাউন্সিল এই পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করল দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৮ হাজার ৭৬৪ জন। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রে গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা হয়। পরে এসব কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
পরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার দিনে এসব কেন্দ্রের পরীক্ষা আবার অনুষ্ঠিত হয়। দুই ধাপে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরীক্ষায় অংশ নেন। ৩০ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৫ হাজার ৩৩৫ শিক্ষার্থী। পরে তৃতীয় পরীক্ষকের খাতা মূল্যায়নের পর আরও ১৩৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাঁদের মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ইতিহাস:-
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইন অনুশীলনকারীদের জন্যে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল আদেশের অধীনে প্রতিষ্ঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। এটি বাংলাদেশের আইনজীবীদের জন্য লাইসেন্সিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে। এটি আইনজীবী তৈরির কারখানাও হিসেবেও পরিচিত।
আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ তদন্ত ও বিচারের জন্য বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৯ সালে এই জাতীয় পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল ছিল। একটি ট্রাইব্যুনাল কোনও আইনজীবীকে তিরস্কার বা স্থগিত করতে বা অনুশীলন থেকে সরিয়ে দিতে পারে।
এটি ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ৩৭৮টি অভিযোগের বিষয়ে শুনানি করেছে। এসব অভিযোগে ৯ জন আইনজীবী তাদের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে হারিয়েছেন এবং ৬ জনকে সীমিত সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
কমিটি:-
- বার কাউন্সিলের কয়েকটি স্থায়ী কমিটি রয়েছে। এরমধ্যে নির্বাহী কমিটি – প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত।
- পরীক্ষা পরিচালনা ও নিবন্ধন কমিটি – আইনজীবীদের সদস্যভুক্ত করার জন্য পরীক্ষা গ্রহণ করে।
- ফাইন্যান্স কমিটি – কাউন্সিলের তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত।
- আইনি শিক্ষা কমিটি- আইনজীবীদের আইনগত শিক্ষার মান নির্ধারণ করে থাকে।
- অন্যান্য কমিটি – বার কাউন্সিলের সদস্য সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পরিচালনার জন্যে তৈরি কমিটি।
ইতিহাস:-
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল গঠিত হয়। এর সদস্য সংখ্যা রাখা হয় ১৫ জন। প্রতিটি কমিটির মেয়াদ থাকে ৩ বছর। এরমধ্যে পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের সভাপতি থাকেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। বাকি ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন আইনজীবীদের মধ্য থেকে তাদের ভোটে নির্বাচিত, বাকি ৭ জন প্রতিটি গ্রপ থেকে একজন করে ৭টি গ্রুপে বিভক্ত স্থানীয় আইনজীবী সমিতিগুলির সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন।
বার কাউন্সিলের সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করে। বার কাউন্সিল ‘বাংলাদেশ আইনি সিদ্ধান্ত’ নামে একটি আইনি জার্নাল প্রকাশ করে।
গঠনপূর্ব পটভূমি:-
১৭৭৪ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগকৃত অ্যাটর্নিদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব লেটার্স প্যাটেন্টের ১১ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালতের ওপরই ন্যস্ত হয়। ১৭৯৩ সালের ৭ নং প্রবিধান অনুযায়ী সদর দেওয়ানি আদালতে ও অধস্তন কোম্পানি আদালতগুলিতে আইনপেশায় নিয়োজিত উকিলদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করতো সুপ্রিম কোর্ট।
১৮৬২ সালে সদর দেওয়ানি আদালত ও সদর নিজামত আদালত তুলে দিয়ে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে জজিয়তি হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে হাইকোর্ট তার আইনজীবী, অ্যাটর্নি (রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগকৃত সর্বোচ্চ আইনকর্মকর্তা), উকিল, কৌঁশুলি ও মোক্তারদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পায়। তখন বেশিরভাগ আইনজীবীরা ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে ডিগ্রি অর্জন করা ব্যারিস্টার অথবা স্কটল্যান্ডের ফ্যাকাল্টি অফ অ্যাডভোকেট্স-এর সদস্য ছিলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেয়াসহ ওকালতি করতে পারতেন এবং ওই আদালতের আপিল বিভাগ ও অন্যান্য অধস্তন আদালতে ওকালতি করার অনুমতি নিতেন। তবে এ পদ্ধতি বা নিয়ে দেশীয় আইনজীবীরা অধস্তন আদালত ছাড়া হাইকোর্টে মূল বিভাগে কাজ করার তেমন কোনো অধিকার পায়নি।
তাই উপমহাদেশে একটি সর্বভারতীয় বার গঠন এবং অ্যাডভোকেট ও উকিলদের মধ্যে পার্থক্য করার জন্যে জোরালো দাবি ওঠে। এ দাবির প্রেক্ষিতে ১৯২৩ সালে ইন্ডিয়ান বার কমিটি গঠন করা হয়। এর সভাপতি ছিলেন স্যার এডওয়ার্ড চ্যামিয়ার। ১৯২৪ সালে ওই কমিটি প্রতিবেদন পেশ করে এবং ইন্ডিয়ান বার কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯২৬ কার্যকর করে।
ভারতের বার কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রথমবারের মতো প্রতিটি হাইকোর্টে যৌথ সংগঠন হিসেবে একটি করে বার কাউন্সিল গঠনের বিধি প্রবর্তন করা হয়। ওইসব কাউন্সিলে ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত প্রতিটি বার কাউন্সিলে অ্যাডভোকেট জেনারেল, হাইকোর্ট কর্তৃক মনোনীত ৪ জন সদস্য এবং হাইকোর্টের অ্যাডভোকেটদের নিজেদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য থাকতেন।
তখন হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে বার কাউন্সিলকে আইনজীবীদের নিবন্ধন ও তাদের নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুন তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে কোনও ব্যক্তিকে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে হাইকোর্ট আপত্তি জানালে তা খর্ব করার অধিকার বার কাউন্সিলের ছিলো না।
এ আইনে হাইকোর্টের মূল বিভাগে আইন ব্যবসায়ে আগ্রহী আবেদনকারীদের যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষমতা এবং তাদের গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান এবাং কী কী শর্তে বা পরিস্থিতিতে তারা ওই আদালতের অধীনে আইনব্যবসা করতে পারবেন তার সবটাই নির্ধারণ করতো কলকাতার হাইকোর্ট।
আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার পরবর্তী তারিখের বিশ্লেষণ:-
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর পরবর্তী জজ কোর্ট ও হাইকোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তি এম সি কিউ পরীক্ষার পদক্ষেপ কেমন হতে পারে এবং জজ কোর্ট ও হাইকোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার পরবর্তী সম্ভাব্য তারিখ কবে হতে পারে এই নিয়ে সংকিত /উদ্ধেগিত /হতাশিত দেশের লক্ষাধিক আইনের ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর ইতিহাস বলছে ২০১৭ থেকে ২০২১ এর মধ্যে আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার জন্য তারা শুধু মাত্র একটি এনলোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছে। অথচ আইন বলছে প্রতি কালেন্ডার ইয়ারে অন্তত একবার আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করতে । বলা বাহুল্য একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন বলতে বুঝায় ( এম সি কিউ + রিটেন+ ভাইভা ) পরীক্ষায় অংগ্রহণ করা কিন্তু বার কাউন্সিল ২০১৭-২০২১ সাল এর মধ্যে শুধু মাত্র একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষা নেয় ।
এর ফলে দেশের প্রায় লক্ষাধিক আইনের ছাত্র/ছাত্রীদের জীবন থেকে ৫-৬ টি বছর ঝরে গেছে। তাদের স্বপ্নগুলোকে লুন্ঠিত করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল । এর দায় কোন ভাবেই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই!
এমন ধংসাত্বক অপরাধ/ ধংসাত্বক পাপ করার পরে তারা এখন সকল কিছু স্বীকার করতে বাদ্ধ হয়েছেন ।এখন তারা বলছেন বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে না পারাটা তাদের সম্পূর্ণ বার্থতা। এর দায় তাদের এটি তারা স্বীকার করতে প্রস্তত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেটি চলে গেছে সেটি নিয়ে হাজারও কাঁদলেও সে সময় আর ফিরে পাবার নয় । তাও বলতে বাদ্ধই হলাম, অলসের কারখানায় ভরে গেছে গাছটা…’………………………………….
আলসে ফুলে ফুলে
নুয়ে পড়েছে পরেছে লতাটা,
অলসের কারখানায় ভরে গেছে গাছটা,
আর আমি সময় নষ্টের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি।
খোকা তোদের কবে পরীক্ষা নিব ?
কবে পাব পরীক্ষার হল নেওয়ার পারমিশন?
এই বিষয়ে প্রায় শতশত বার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত ১৫ সদস্যদের মধ্যে সকল সদস্যদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছে তাদের জবাব ছিল একটাই তারা পরীক্ষার হল নেওয়ার সিডিউল মেলাতে না পারায় এমনটা ঘটে যাচ্ছে!
অথচ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন ঠিকই প্রতিবছর কালেন্ডার ইয়ারে এম সি কিউ + রিটেন+ ভাইয়া পরীক্ষা নিতে সফল হয়েছে। তাহলে বার কাউন্সিল কেন অপারগতা দেখাচ্ছে? এটি বড়ই রহস্য জনক ব্যাপার হয়ে দাড়াচ্ছে না তো ? এ ব্যাপারে গুনিজণদের কাছে আমার প্রশ্ন রয়ে গেল!
এখন আশা যাক মূল টেবিলের আলোচনায়, স্বদ্য ২০২১ সালের এনেরোলমেন্ট ভাইভা পরীক্ষার রেজাল্ট হবার পরে পরবর্তী এনরোলমেন্ট পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে এই বিষয়ে অনেক প্রথম সারির গণমাধ্যম গুলো বার কাউন্সিলকে প্রশ্ন করলে তারা এখনো কোন নিদিষ্ট তারিখ বলতে পারেন নি । তারা শুধ এতাটুকুই বলে আসছেন খুব শিঘ্রই তারা আবার পরীক্ষা নেবেন।
এদিকে আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বাংলাদেশের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের ১৬তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
পদাধিকার বলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন । তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এখন থেকে প্রতি বছর কালেন্ডার ইয়ারে একটি করে এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন এবং সম্ভব হলে একই বছরে আরো একটি এম সি কিউ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সামনে হাইকোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা নেবার প্রস্তুতি চলছে । সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারী/ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে/ আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ।
যদি ধরি বার কাউন্সিলের কথা অনুযায়ী পরবর্তী হাইকোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারী/ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে তাহলে কিভাবে পরবর্তী জজ কোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার হল রুম এর ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবেন বার কাউন্সিল ???
বিশ্লেষণ অনুযায়ী যদি সমাধানের কথা চিন্তা করা যায় তাহলে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল চাইলেই একি তারিখে সকাল ও বিকেল সিফ্ট করে জজ কোর্ট ও হাইকোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কি বার কাউন্সিল এর পক্ষে অসম্ভব কিছু ? আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হচ্ছে এটি বার কাউন্সিল এর পক্ষে অসম্ভভ কোন কিছু নয় ।
পরবর্তী আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার তারিখ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শোনা যাচ্ছে সেখান খেকে যতোটুকু মেসেজ/বার্তা বার কাউন্সিল গণমাধ্যমকে দিয়েছে তাতে করে পরবর্তী জজ কোর্ট ও হাইকোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা একই তারিখে অথবা আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারী/ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন করার ইঙ্গিত বহন করছে ।
পরিশেষে অপেক্ষা এবং দেখবার বিষয় বার কাউন্সিল কি পারবে আবার নতুন করে তাদের পুরোনো ঐতিজ্যকে ফিরেয়ে আনতে ?
Discussion about this post