ডেস্ক রিপোর্ট
তিন হাসপাতাল ঘুরে জমজ নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও মুগদার ইসলামিয়া হাসপাতালের ব্যাখ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। তবে ব্যাখ্যায় কী বলা হয়েছে তা আদালতে উপস্থাপনের পর জানা যাবে।বুধবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হেবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্টের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক, শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ শফি আহমেদের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের উপপরিচালকের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম এসব প্রতিবেদন জমা দেন। আজই এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে এ ঘটনায় গত ২ নভেম্বর তিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। মৃত জমজ সন্তানদের মরদেহ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন তাদের বাবা সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদ। এরপর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুলসহ ওই আদেশ দেন। রুলে চিকিৎসা অবহেলায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।
একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সায়েরা খাতুন অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে সিএনিজির মধ্যে ২টি বাচ্চা প্রসব করেন। এ সময় তারা প্রসূতিকে মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করে। এই হাসপাতালে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তারা নবজাতকদের শ্যামলীতে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিতে বলে। পরে দুই নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের আইসিইউ বেড খালি নেই। সাধারণ বেডে ভর্তি করতে হবে। এ জন্য দিনে প্রতি বাচ্চার জন্য ৫ হাজার করে টাকা লাগবে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির সঙ্গে আলাপ করেন। বিচারপতি তার নবজাতকদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে আসতে বলেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে আসেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, পরিচালক মিটিংয়ে আছেন। পরে জানান, পরিচালক বাসায় চলে গেছেন। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একজন ডাক্তারকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নবজাতকদের দেখান। তখন ডাক্তার বলেন, জমজ নবজাতক আর বেঁচে নেই। তারপর আবুল কালাম আজাদ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন। এরপর আদালত আদেশ দেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
Discussion about this post