সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জামাতা সুকর্ণ ঘোষ তার বড় ভাইয়ের বউ অসিমা ঘোষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আমার মেয়ে মিতা রানী ঘোষ তাতে বাধা দিলে ৮ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় স্বামী সুকর্ণ ঘোষ ও তার বৌদি অসিমা ঘোষ, মাতা ঊষা ঘোষ, বড় ভাই বিকর্ণ ঘোষ ও ছোট কাকীমা সংঘবদ্ধ হয়ে মিতাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
পরে তার মুখে বিষ ঢেলে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমার বড় মেয়ে রঞ্জিতা জামাতা সুকর্ণকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে তার বৌদি মেরেছে, বৌদির কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে সুকর্ণ মেরেছে- এভাবে তারা আমার মেয়ের মৃত্যু নিয়েও ছিনিমিনি খেলা শুরু করে। এমনকি আমার একমাত্র নাতি শিশু অর্ঘকেও তারা আটক করে রেখেছে। আমাদের কাছে আসতে দিচ্ছেনা। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিতে গেলে গোবিন্দ ঘোষ নামে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দিয়ে আমাদের উপর হামলা এবং কোনো প্রকার মামলা না করতে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি আমরা গোপনে ডুমুরিয়া থানায় গেলেও থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরির্দশক (এসআই) মহসিন মামলা গ্রহণ না করে বের করে দেন।
পরবর্তীতে মৃত্যুর আলামত নষ্ট করতে দ্রুত মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। পুলিশকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করে বলা হয়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা যে কোনো সময় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
Discussion about this post