জামিনযোগ্য ও জামিন অযোগ্য ধারার অপরাধ
জামিনযোগ্য ও জামিন অযোগ্য ধারার অপরাধ বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধিতে বলা হয়েছে।জামিনযোগ্য ও জামিন অযোগ্য অপরাধ কি তা জেনে নেই।
জামিনযোগ্য অপরাধঃ-
ফৌজধারী কার্যবিধি ৪(খ)ধারায় জামিনযোগ্য অপরাধ বা “Bailable Offence’ সম্পর্কে বলা হয়েছে।যে সকল অপরাধ ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলে জামিনযোগ্য বলে দেখানো হয়েছে যা বর্তমানে বলবৎ কোন আইন দ্বারা জামিন যোগ্য করা হয়েছে তাকে জামিনযোগ্য অপরাধ বলা হয় ।
আমলঅযোগ্য অপরাধঃ-
যে অপরাধ সংগঠিত হলে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে না ও ১৫৪ ধারায় এজাহার রুজুর মাধ্যমে মামলা করতে পারে না এবং ১৫৬ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত পরিচালনা করতে পারে না সেই সকল অপরাধকে আমলঅযোগ্য অপরাধ বলে। আমলঅযোগ্য অপরাধকে সাধারণত জামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জামিন অযোগ্য অপরাধঃ-
জামিন অযোগ্য অপরাধ অর্থ জামিনযোগ্য অপরাধ ব্যতিত অন্য যে কোন অপরাধকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলা হয়।ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসীলে পঞ্চম কলামে কোন কোন অপরাধগুলো জামিনযোগ্য ও কোন কোনগুলো অ-জামিনযোগ্য তা দেখানো হয়েছে৷জামিনযোগ্য অপরাধকে সাধারণত জামিন অযোগ্য অপরাধের চেয়ে কম গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হয় ৷
আমলযোগ্য অপরাধঃ-
যে অপরাধ সমুহ সংগঠিত লে পরে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অপরাধীকি গ্রেফতার করতে পারে, ১৫৪ ধারায় এজাহার রুজুর মাধ্যমে মামলা করতে পারে, ১৫৬ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত পরিচালনা করতে পারে সেই সকল অপরাধ সমুহকে আমলযোগ্য অপরাধ বলে। ফৌজদারি কার্যবিধির ২য় তফসিলের ৩য় কলামে আমলযোগ্য অপরাধের তালিকা প্রদত্ত হয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধকে সাধারণত জামিনঅযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জামিনযোগ্য ও জামিন অযোগ্য ধারার অপরাধ এর ধারা গুলো নিচে দেওয়া হল।
দন্ডবিধি আইনে জামিনযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহঃ-
৩৩৪-৩৫২, ৩৫৪, ৩৫৫. ৩৫৭-৩৬৩, ৩৭০, ৩৭৪, ৩৮৪, ৩৮৮, ৩৮৯, ৪০৩, ৪০৪, ৪১৭-৪৩৫, ৪৪৭, ৪৪৮, ৪৫১, ৪৬১-৪৬৫, ৪৬৯-৪৭৫, ৪৭৭ক-৪৮৯, ৪৮৯গ, ৪৯১, ৪৯৪-৫০৪, ৪০৬-৫১০।
দন্ডবিধি আইনে জামিনঅযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহঃ-
৩৫৩, ৩৫৬, ৩৬৪, ৩৬৪ক, ৩৬৫, ৩৬৬ক, ৩৬৬খ-৩৬৯, ৩৭১-৩৭৩, ৩৭৬-৩৮২, ৩৮৫-৩৮৭, ৩৯২-৪০২, ৪০৬-৪১৪, ৪৩৬-৪৪০, ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫২-৪৬০, ৪৬৬-৪৬৮, ৪৮৯ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯ঘ, ৪৯৩, ৫০৫, ৫০৫ক, ৫১১।
বিনাশ্রম কারাদন্ডের ধারাসমূহ:
১৬৩, ১৬৬, ১৬৮, ১৬৯, ১৭২, ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬, ১৭৮, ১৭৯, ১৮০, ১৮৭, ১৮৮, ২২৩, ২২৫-ক(খ), ২২৮, ২৯১, ৩০৯, ৩৪১, ৩৫৮, ৫০৯, ৫১০ ।
জরিমানা দন্ডের ধারাসমূহ:
১৩৭, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৭১ছ, ১৭১জ, ১৭১ঝ, ২৬৩ক, ২৭৮, ২৮৩, ২৯০।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ধারাসমূহ:
১২১, ১২১-ক, ১২২, ১২৪-ক, ১২৫, ১২৮, ১৩০, ১৩২, ১৯৪, ১৯৫, ২২২, ২২৫ , ২৩২, ২৩৮, ২৫৫, ৩০২, ৩০৪, ৩০৫, ৩০৭, ৩১১, ৩১৩, ৩২৬, ৩২৬-ক, ৩২৯, ৩৬৪, ৩৬৪-ক, ৩৭১, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯,৩৯৪-৩৯৬, ৪০০, ৪০৯, ৪১২, ৪১৩, ৪৩৬, ৪৩৮, ৪৪৯, ৪৫৯, ৪৬০, ৪৬৭, ৪৭২, ৪৭৪, ৪৭৫, ৪৭৭, ৪৮৯-ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯-ঘ, ।এছাড়া বিশেষ কয়েকটি আইনের ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।
মৃত্যু দন্ডের ধারাসমূহ:
১২১, ১৩২, ১৯৪, ৩০২, ৩০৩, ৩০৫, ৩২৬-ক, ৩৬৪-ক, ৩৯৬ দন্ডবিধির মোট ৯টি ধারা এবং কয়েকটি বিশেষ আইনের ধারায় মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে।
যেমনঃ- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ ।
জামিনযোগ্য ধারার অপরাধসমূহঃ-
ফৌজদারী কার্যবিধি ২য় তফসিলে উল্লেখিত রয়েছে যে, দন্ডবিধি ব্যতীত অপর কোন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে উক্ত আইনে ভিন্ন কোন বিধান না থাকলে অপরাধটি যদি দুই বছরের কম শাস্তিযোগ্য কিংবা কেবল অর্থদন্ড প্রদানযোগ্য হয় তবে উক্ত অপরাধটি জামিনযোগ্য হবে।
-
- মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনের চক্রান্ত গোপন করা, যদি অপরাধ সংঘটিত না হয় ১১৮(২য় ভাগ)।
- অপরাধ সংঘটন নিরোধ করিবার কর্তব্যে আবদ্ধ সরকারি কর্মচারী কর্তৃক চক্রান্ত গোপন করা,যদি অপরাধ সংঘটিত না হয় ১১৯(৩য় ভাগ)।
- কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনের চক্রান্ত গোপন করা, যদি অপরাধ সংঘটিত না হয় ১২০(২য় ভাগ)।
- মৃত্যু, যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় বা দুই বছরের অধিক কারাদন্ডে দন্ডনীয় ব্যতীত অন্যান্য অপরাধে ষড়যন্ত্রের শাস্তি ১২০বি (২য় ভাগ)।
- সরকারি কর্মচারীর অবহেলার ফলে রাষ্ট্রীয় বন্দী বা যুদ্ধবন্দীর পলায়ন ১২৯।
- সৈনিক, নাবিক বা বৈমানিকের বাহিনী ত্যাগে প্ররোচনা ১৩৫।
- বাহিনী ত্যাগকারীকে আশ্রয়দান বা রক্ষা করা ১৩৬।
-
- সওদাগরী জাহাজের অধ্যক্ষের ফলে সওদাগরী জাহাজের বাহিনীর আত্মগোপন ১৩৭।
- সৈনিক, নাবিক বা বৈমানিকের অবাধ্যতামূলক কাজে প্ররোচনা ১৩৮।
- সৈনিক, নাবিক বা বৈমানিকের পোশাক পরিধান কিংবা প্রতীক বহন।
- বেআইনী সমাবেশের সদস্য হওয়া ১৪৩।
- মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী সমাবেশের সদস্য হওয়া ১৪৪।
- বেআইনি সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হবার আদেশ দেয়া সত্ত্বেও শরিক হওয়া ১৪৫।
- দাঙ্গা ১৪৭।
- মারাত্মক অস্ত্রসহ দাঙ্গা ১৪৮।
- পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হবার আদেশ দেয়া সত্ত্বেও তাতে শরিক হওয়া ১৫১।
- দাঙ্গা ইত্যাদি দমনকালে সরকারী কর্মচারীকে আক্রমন বা বাধাদান ১৫২।
-
- দাঙ্গা বাধানোর উদ্দেশ্যে ইচ্ছাপূর্বক উস্কানি দান করা ১৫৩।
- বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি ১৫৩ক।
- ছাত্র, প্রভৃতিকে রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণের প্ররোচনা দান ১৫৩খ।
- যে জমির উপর বেআইনি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় উহার মালিক বা দখলদার কর্তৃক দাঙ্গার তথ্য না প্রদান না কর ১৫৪।
- যে ব্যক্তির স্বার্থে দাঙ্গা সংঘটিত হয় তার দায়দায়িত্ব ১৫৫।
- যে মালিক বা দখলকারের স্বার্থে দাঙ্গা সংঘটিত হয় তার প্রতিনিধির দায়িত্ব ১৫৬।
- বেআইনী সমাবেশের জন্য ভাড়া করা ব্যক্তিদের আশ্রয়দান ১৫৭।
- বেআইনী সমাবেশের বা দাঙ্গা-হাঙ্গামার জন্য ভাড়াটিয়া হয়ে অংশগ্রহণ ১৫৮।
- প্রকাশ্যে কলহ বা মারামারি করা ১৬০সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সরকারি কার্য সম্পর্কে অবৈধভাবে পারিতোষিক গ্রহণ করা ১৬১।
- বেআইনী উপায়ে সরকারি কর্মচারীকে প্রভাবিত করার জন্য পারিতোষিক গ্রহণ করা ১৬২।
- সরকারি কর্মচারীর উপর ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তারের জন্য পারিতোষিক গ্রহণ ১৬৩।
- ১৬২ বা ১৬৩ ধারায় বর্ণিত অপরাধসমূহের সহায়তার শাস্তি ১৬৪।
- সরকারি কর্মচারী কর্তৃক তার কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট হতে দামি বস্তু লাভ ১৬৫।
- ১৬১ ও ১৬৫ ধারায় বর্ণিত অপরাধসমূহের সহায়তার শাস্তি ১৬৫ক।
- সরকারি কর্মচারি কর্তৃক কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে আইন অমান্য করা ১৬৬।
- সরকারি কর্মচারি কর্তৃক কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে ভ্রান্ত দলিল প্রণয়ন করা ১৬৭।
- সরকারি কর্মচারি কর্তৃক বেআইনীভাবে ব্যবসায় লিপ্ত হওয়া ১৬৮।
- সরকারি কর্মচারি কর্তৃক বেআইনীভাবে সম্পত্তি ক্রয় বা ক্রয়ের উদ্দেশ্যে দরকষাকষি ১৬৯।
- সরকারি কর্মচারি বলিয়া মিথ্যা পরিচয় দান ১৭০।
- প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে সরকারী কর্মচারীর পোশাক পরিধান কিংবা ব্যবহার্য প্রতীক ধারণ ১৭১।
-
- ঘুষ গ্রহণ ১৭১ঙ।
- নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব বিস্তার বা মিথ্যা পরিচয়দান ১৭১ চ।
- নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মিথ্যা বিবৃতি প্রদান ১৭১ছ।
- নির্বাচন সম্পর্কে বেআইনী অর্থপ্রদান ১৭১জ।
- নির্বাচনী হিসাব রাখতে অন্যথাকরণ ১৭১ঝ।
- সমনজারি বা অন্য কোন কার্যক্রম এড়ানোর উদ্দেশ্যে ফেরার হওয়া ১৭২।
- সমনজারি বা অন্য কোন কার্যক্রম বন্ধ করা কিংবা উহার প্রকাশনা বন্ধকরা ১৭৩।
- সরকারি কর্মচারীর আদেশানুসারে হাজির না হওয়া ১৭৪।
- সরকারি কর্মচারী সমীপে দলিল পেশ করতে আইনতঃ বাধ্য হইয়া সত্ত্বেও না করা ১৭৫।
- সরকারি কর্মচারীর নিকট নোটিশ বা সংবাদ দিতে আইনতঃ বাধ্য ব্যক্তি কর্তৃক তাহা না করা ১৭৬।
- মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ১৭৭।
- সরকারি কর্মচারী কর্তৃক নির্দেশিত হওয়া সত্ত্বেও শপথ করতে অস্বীকার করা ১৭৮।
- যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করা ১৭৯।
- সরকারি কর্মচারীর নিকট প্রদত্ত বিবৃতি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করা ১৮০।
- শপথ গ্রহণান্তে মিথ্যা বিবৃতি প্রদান ১৮১।
- সরকারি কর্মচারীকে মিথ্যা সংবাদ দান ১৮২।
- সরকারি কর্মচারীর আইনসম্মত ক্ষমতাবলে সম্পত্তি দখলে বাধা দান ১৮৩।
- সরকারি কর্মচারীর ক্ষমতাবলে সম্পত্তি বিক্রয়ে বাধা দান ১৮৪।
- সরকারি কর্মচারীর ক্ষমতাবলে সম্পত্তি বেআইনিভাবে ক্রয় বা ক্রয়ের জন্য দর করা ১৮৫।
- সরকারি কর্মচারীর সরকারি কার্য সম্পাদনে বাধা দান ১৮৬।
- সরকারি কর্মচারীদের সাহায্য না করা ১৮৭।
- সরকারি কর্মচারী কর্তৃক জারীকৃত আদেশ অমান্য করা ১৮৮।
- সরকারি কর্মচারীর প্রতি ক্ষতিসাধনের হুমকি ১৮৯।
- সরকারি কর্মচারীর নিকট আশ্রয়ের আবেদন হতে বিরত রাখতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে হুমকি প্রদর্শন ১৯০।
- মিথ্যা সাক্ষ্যদান ১৯৩।
- মিথ্যা সার্টিফিকেট দেওয়া বা ব্যবহার ১৯৭।
- মিথ্যা সার্টিফিকেট সত্য বলে ব্যবহার করা ১৯৮।
- আইনগত ঘোষণায় মিথ্যা বিবৃতি দান ১৯৯।
- আইনগত ঘোষণায় মিথ্যা বলে জানা সত্ত্বেও সত্য হিসাবে ব্যবহার করা ২০০।
- অপরাধের সাক্ষ্য প্রমানের বিলোপ কিংবা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান ২০১।
- ইছাকৃতভাবে সংবাদ না দেওয়া ২০২।
- অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ দেওয়া ২০৩।
- অসৎ উদ্দেশ্যে দলিলের বিনাশ সাধন ২০৪।
- মামলার উদ্দেশ্যে মিথ্যা পরিচয় দেয়া ২০৫।
- সম্পত্তি আটক রোধ করার জন্য প্রতারণামূলকভাবে উহা অপসারন ২০৬।
- সম্পত্তি আটক রোধ করার জন্য প্রতারনামূলকভাবে স্বত্ব দাবী ২০৭।
- অর্থ পরিশোধ না করার উদ্দেশ্যে প্রতারনামূলকভাবে নিজের বিরুদ্ধে ডিক্রি করানো ২০৮।
- অসাধুভাবে আদালতে মিথ্যা দাবী উত্থাপন ২০৯।
- অর্থ পরিশোধ না করার উদ্দেশ্যে প্রতারনামূলকভাবে ডিক্রি লাভ ২১০।
- অপরাধ সংক্রান্ত মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন ২১১।
- অপরাধীকে আশ্রয় দান ২১২।
- কোন ব্যাক্তিকে শাস্তি হতে বাঁচানোর জন্য উপহার গ্রহণ ২১৩।
- অপরাধীকে বাচানোর বিনিময়ে পুরষ্কারের প্রস্তাব ২১৪।
- অপহৃত সম্পত্তি উদ্ধারে সাহায্য করার জন্য উপহার গ্রহণ ২১৫।
- আসামীকে আশ্রয়দান ২১৬।
- দস্যু বা ডাকাতকে আশ্রয়দান ২১৬ক।
- কোন ব্যক্তিকে শাস্তি হতে বাঁচানোর বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক আইনের নির্দেশ লংঘন ২১৭।
- কোন ব্যক্তিকে শাস্তি হতে বাঁচানোর বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ভুল নথি লিপি প্রণয়ন ২১৮।
- বিচারবিভাগীয় কার্যক্রমে দুর্নীতিমূলকভাবে রিপোর্ট প্রণয়ন ২১৯।
- আইনবিরুদ্ধভাবে কাউকে বিচারে বা আটকে সোপর্দ করে বা আটক করে রাখা ২২০।
- গ্রেফতার করিতে বাধ্য হইয়া সত্ত্বেও সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেফতার না করা ২২১।
- সরকারি কর্মচারীর অবহেলার দরুন আটক হতে পলায়ন ২২৩।
- কোন ব্যাক্তি কর্তৃক তার আইনানুগ গ্রেফতারে প্রতিরোধ সৃষ্টি বা বাধাদান ২২৪।
- অপর ব্যক্তির আইনসংগত গ্রেফতারে প্রতিরোধ বা বিঘ্ন সৃষ্টি ২২৫।
- সরকারি কর্মচারী কর্তৃক গ্রেফতার না করা কিংবা পলায়ন করতে দেয়া ২২৫ক।
- আইনসম্মত গ্রেফতার কার্যে প্রতিরোধ বা বাধাদান ২২৫বি।
- দন্ড হ্রাসের শর্ত লংঘন ২২৭।
- বিচার বিভাগীয় কার্য পরিচালনাকারী সরকারি কর্মচারীর প্রতি অবমাননা ২২৮।
- জুরির মিথ্যা পরিচয় দান ২২৯।
- সরকারি স্ট্যাম্প জাল করা ২৫৫।
- সরকারি স্ট্যাম্প জাল করিবার যন্ত্রপাতি রাখা ২৫৬।
- সরকারি স্ট্যাম্প জাল করিবার যন্ত্রপাতি প্রস্তুত বা বিক্রয় করা ২৫৭।
- জাল সরকারি স্ট্যাম্প বিক্রয় করা ২৫৮।
- জাল সরকারি স্ট্যাম্প রাখা ২৫৯।
- জাল সরকারি স্ট্যাম্প ব্যবহার করা ২৬০।
- সরকারি স্ট্যাম্প হতে লেখা মুছে ফেলা বা স্ট্যাম্প অপসারণ ২৬১।
- পূর্বের ব্যবহৃত স্ট্যাম্প ব্যবহার ২৬২।
- স্ট্যাম্প ব্যবহৃত হবার প্রমাণস্বরূপ চিহ্ন মুছে ফেলা ২৬৩।
- ভুয়া স্ট্যাম্প ২৬৩ক।
- ওজনের জন্য মিথ্যা যন্ত্রের ব্যবহার ২৬৪।
- মিথ্যা ওজন ব্যবহার ২৬৫।
- মিথ্যা ওজন রাখা ২৬৬।
- মিথ্যা ওজন তৈরী বা বিক্রয় ২৬৭।
- মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন অবহেলামূলক কাজ ২৬৯।
- মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন বিদ্বেষপ্রসূত কাজ ২৭০।
- কোয়ারেন্টাইন নিয়ম অমান্য করা ২৭১।
- খাদ্যে বা পানিতে ভেজাল মিশ্রণ ২৭২।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বা পানীয় বিক্রয় ২৭৩।
- ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ ২৭৪।
- ভেজাল মিশ্রিত ঔষধ বিক্রয় ২৭৫।
- কোন ঔষধকে ভিন্ন ঔষধ বলে বিক্রয় করা ২৭৬।
- জলাশয়ের পানি দূষিত করা ২৭৭।
- বায়ূমন্ডলের ক্ষতি সাধন ২৭৮।
- বেপরোয়া গাড়ি চালানো বা আরোহন ২৭৯।
- বেপরোয়া নৌ চালনা ২৮০।
- মিথ্যা বাতি, চিহ্ন বা বয়া প্রদর্শন ২৮১।
- নৌযানে অতিরিক্ত ভারবিশিষ্ট লোক পার করা ২৮২।
- সড়কে বা জলপথে বিপদ বা বাধা ২৮৩।
- বিষাক্ত বস্তু নিয়ে অবহেলামূলক আচরণ ২৮৪।
- আগুন বা দাহ্য বস্তু নিয়ে অবহেলামূলক আচরণ ২৮৫।
- বিস্ফোরক বস্তু নিয়ে অবহেলামূলক আচরণ ২৮৬।
- যন্ত্রপাতি নিয়ে অবহেলামূলক আচরণ ২৮৭।
- দালান ভাংগার বা মেরামতের কাজে অবহেলামূলক আচরণ ২৮৮।
- পশু সম্পর্কে অবহেলামূলক আচরণ ২৮৯।
- জনসাধারণের বিরক্তি উৎপাদনকারী বস্তু বা কাজের শাস্তি ২৯০।
- নিষাধাজ্ঞার পরে উৎপাত চালিয়ে যাওয়া ২৯১।
- অশ্লীল পুস্তকাদি বিক্রয় ২৯২।
- নাবালকের নিকট অশ্লীল পুস্তকাদি বিক্রয় ২৯৩।
- অশ্লীল গান ও কাজ ২৯৪্
- লটারী অফিস রাখা ২৯৪ক।
- বাণিজ্য বিষয়ে পুরষ্কার প্রদানের প্রস্তাব ২৯৪খ।
- উপাসনার স্থান বিনষ্ট বা অপবিত্র করা ২৯৫।
- ধর্মীয় সমাবেশে গোলযোগ সৃষ্টি ২৯৬।
- সমাধিস্থান ইত্যাদিতে অনধিকার প্রবেশ ২৯৭।
- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে শব্দ উচ্চারন করা ২৯৮।
- অবহেলার দ্বারা মৃত্যু সংঘটন ৩০৪ক।
- বেপরোয়াভাবে যান চালানোর দ্বারা মৃত্যু ঘটানো ৩০৪খ।
- অপরাধজনক নরহত্যা করার চেষ্টা ৩০৮।
- আত্মহত্যার চেষ্টা ৩০৯।
- গর্ভপাত ঘটানো ৩১২।
- অভিভাবক কর্তৃক বার বছরের কম শিশুকে ফেলে যাওয়া ৩১৭।
- গোপনে মৃতদেহ অপসারন করে জন্ম গোপন করা ৩১৮।
- ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা ৩২৩।
- ইচ্ছাকৃতভাবে বিপজ্জনক অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা ৩২৪।
- ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত করা ৩২৫।
- স্বীকারোক্তি আদায় কিংবা বেআইনী কাজে বাধ্য করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা ৩৩০।
- সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্য হতে বিরত রাখার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা ৩৩২।
- প্ররোচনার ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা ৩৩৪।
- প্ররোচনার ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত করা ৩৩৫।
- অন্যান্য ব্যক্তির জীবনের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক কাজ ৩৩৬।
- অন্যান্য ব্যক্তির জীবনের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক কাজের দ্বারা আঘাত ৩৩৭।
- অন্যান্য ব্যক্তির জীবনের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক কাজের দ্বারা গুরুতর আঘাত ৩৩৮।
- জনপথে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে গুরুতর আঘাত ৩৩৮কঅন্যায়ভাবে বাধাপ্রদান ৩৪১।
- অন্যায়ভাবে আটক ৩৪২।
- তিন বা ততোধিক দিনের জন্য অন্যায়ভাবে আটক ৩৪৩।
- দশ বা ততোধিক দিনের জন্য অন্যায়ভাবে আটক ৩৪৪।
- মুক্তির জন্য রীট জারির পরেও কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে আটক ৩৪৫।
- গোপন স্থানে অন্যায়ভাবে আটক রাখা ৩৪৬।
- সম্পত্তি আদায় কিংবা বেআইনি কাজের জন্য অন্যায়ভাবে আটক রাখা ৩৪৭।
- স্বীকারোক্তি আদায় কিংবা সম্পত্তি প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য করার জন্য অন্যায়ভাবে আটক রাখা ৩৪৮।
- মারাত্মক প্ররোচনা ব্যতীত আক্রমন কিংবা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ ৩৫২।
- শ্লীলতাহানির জন্য নারীকে আক্রমন কিংবা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ ৩৫৪।
- কোন ব্যক্তিকে অপমান করার জন্য আক্রমন কিংবা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ ৩৫৫।
- কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে আটক করার জন্য আক্রমন কিংবা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ ৩৫৭।
- মারাত্মক প্ররোচানার ফলে আক্রমন কিংবা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ ৩৫৮।
- মনুষ্য অপহরণ ৩৬৩।
- কোন ব্যক্তিকে দাস হিসেবে ক্রয় বা হস্তান্তর করা ৩৭০।
- বেআইনি বাধ্যতাজনক শ্রম ৩৭৪।
- কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ ৩৭৬।
- জোরপূর্বক সম্পত্তি আদায়ের শাস্তি ৩৮৪।
- দন্ডনীয় অপরাধে অভিযুক্ত করার ভীতি প্রদর্শনপূর্বক সম্পত্তি আদায় ৩৮৮।
- দন্ডনীয় অপরাধে অভিযুক্ত করার ভীতি প্রদর্শন ৩৮৯।
- প্রতারণা ৪১৭।
- ক্ষতি হবে জানা সত্ত্বেও প্রতারণা করা ৪১৮।
- মিথ্যা পরিচয় প্রদান করে প্রতারণা ৪১৯।
- প্রতারণা ও অসাধুভাবে সম্পত্তি অর্পণ করতে প্রবৃত্তাকরণ ৪২০।
- প্রতারণা ও অসাধুভাবে সম্পত্তি অপসারণ বা গোপনকরণ ৪২১।
- প্রতারণা ও অসাধুভাবে পাওনাদারদের অর্থ প্রাপ্তি নিরোধ করা ৪২২।
- ক্রয়মূল্য সম্পর্কিত মিথ্যা বিবরণ সম্বলিত প্রতারণা ও অসাধুভাবে হস্তান্ত দলিল সম্পাদন ৪২৩।
- প্রতারণা ও অসাধুভাবে সম্পত্তি সম্পত্তি অপসারণ ও গোপন করা ৪২৪।
- অনিষ্ট সাধন ৪২৬।
- অনিষ্ট করে পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত ক্ষতি সাধন ৪২৭।
- দশ টাকা মূল্যের পশুকে হত্যা বা বিকলাংগ করে অনিষ্ট সাধন ৪২৮।
- যে কোন মূল্যের পশুকে হত্যা বা বিকলাংগ করে অনিষ্ট সাধন ৪২৯।
- সেচ কার্যের ক্ষতিসাধন করে বা অবৈধভাবে জলের গতি পরিবর্তন করে অনিষ্ট সাধন ৪৩০।
- সরকারি সড়ক, সেতু, নদী বা খালের ক্ষতিসাধন ৪৩১।
- সরকারি পয়ঃপ্রণালী প্লাবিত বা বিঘ্নিত করে অনিষ্টসাধন ৪৩২।
- লাইটহাউজ বা সামুদ্রিক সংকেত বিনষ্ট করে অনিষ্টসাধন ৪৩৩।
- ভূ-সংকেত বিনষ্ট করে অনিষ্টসাধন ৪৩৪।
- অগ্নি বা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে কৃষি পণ্যের অনিষ্টসাধন ৪৩৫।
- অপরাধজনক অনধিকার প্রবেশ ৪৪৭।
- গৃহে অনধিকার প্রবেশ ৪৪৮।
- কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ করার উদ্দেশ্যে গৃহে অনধিকার প্রবেশ ৪৫১( ১ম ভাগ)।
- অসাধুভাবে সম্পত্তি সম্বলিত আধার ভাঙ্গা ৪৬১।
- হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন ৪৬২।
- ব্যাংক অফিসার ও কর্মচারীদের অবহেলাজনক আচরনের শাস্তি ৪৬২ক।
- ব্যাংকিং কোম্পানীর সাথে প্রতারণা ৪৬২খ।
- সুনামহানির উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ৪৬৯।
- জাল দলিলকে খাটি দলিলরূপে ব্যবহার ৪৭১।
- মূল্যবান জামানত, উইল ইত্যাদি জালিয়াতির জন্য জাল সীলমোহর তৈরী যা দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারা অনুযায়ী শাহতিযোগ্য ৪৭২।
- জালিয়াতির উদ্দেশ্যে জাল সীলমোহর তৈরী বা রাখা ৪৭৩।
- জাল দলিল নিজের দখলে রাখা ৪৭৪।
- জাল চিহ্ন বিশিষ্ট দ্রব্য নিজের দখলে রাখা ৪৭৫।
- মিথ্যা হিসাবপত্র প্রণয়ন করা ৪৭৭ক।
- মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা সম্পত্তি চিহ্ন ব্যবহার করা ৪৮২।
- ট্রেডমার্ক বা সম্পত্তি চিহ্ন জাল করে অন্যের ক্ষতির জন্য ব্যবহার করা ৪৮৩।
- সরকারি কর্মচারীর মার্ক বা চিহ্ন জাল করা ৪৮৪।
- ট্রেডমার্ক বা সম্পত্তি চিহ্ন জাল করার যন্ত্র প্রস্তুত বা দখলে রাখা ৪৮৫।
- জাল ট্রেড মার্কবিশিষ্ট পণ্য বিক্রয় ৪৮৬।
- পণ্যের আধারে মিথ্যা চিহ্ন অংকন ৪৮৭।
- মিথ্যা চিহ্ন ব্যবহারের শাস্তি ৪৮৮।
- ক্ষতিসাধনের জন্য সম্পত্তির চিহ্নে হস্তক্ষেপ ৪৮৯।
- নোট জাল করার যন্ত্র বা সামগ্রী প্রস্তুত করা বা রাখা ৪৮৯গ।
- শুশ্রূষা করার প্রয়োজনীয় দ্রব্য যোগান দেয়ার চুক্তি ভংগ করা ৪৯১।
- স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহ করা ৪৯৪।
- পূর্ববর্তী বিবাহের কথা গোপন রেখে বিবাহ করা ৪৯৫।
- প্রতারণামূলকভাবে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা ৪৯৬।
- ব্যভিচার ৪৯৭।
- বিবাহিত নারীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া বা আটক রাখা ৪৯৮।
- মানহানি ৫০০।
- মানহানিকর বলে বিদিত বস্তু মুদ্রণ বা খোদাইকরন ৫০১।
- মানহানিকর বিষয় মুদ্রিত বা খোদাই করা বস্তু বিক্রয় ৫০২।
- শাস্তিভঙ্গের প্ররোচনা দানের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান ৫০৪।
- অপরাধজনক ভীতি প্রদর্শন ৫০৬।
- বেনামী পত্রযোগে ভীতি প্রদর্শন ৫০৭।
- কোন ব্যক্তিকে বিধাতার রোষভাজন হবে এরূপ বিশ্বাস করিয়ে কোন কাজের অনুষ্ঠান ৫০৮।
- নারীর শ্লীলতাহানির জন্য কথা, কাজ বা অংগভংগি ৫০৯।
- মাতাল ব্যক্তি কর্তৃক প্রকাশ্যে অসদাচরণ ৫১০।
পরিশেষে বলা যায় যে জামিনযোগ্য অপরাধ ফৌজধারী কার্যবিধি ৪(খ)ধারায় জামিনযোগ্য অপরাধ বা “Bailable Offence’ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আমলঅযোগ্য অপরাধযে অপরাধ সংগঠিত হলে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে না ও ১৫৪ ধারায় এজাহার রুজুর মাধ্যমে মামলা করতে পারে না এবং ১৫৬ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত পরিচালনা করতে পারে না সেই সকল অপরাধকে আমলঅযোগ্য অপরাধ বলে।
আমলঅযোগ্য অপরাধকে সাধারণত জামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জামিন অযোগ্য অপরাধ জামিন অযোগ্য অপরাধ অর্থ জামিনযোগ্য অপরাধ ব্যতিত অন্য যে কোন অপরাধকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলা হয়।ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসীলে পঞ্চম কলামে কোন কোন অপরাধগুলো জামিনযোগ্য ও কোন কোনগুলো অ-জামিনযোগ্য তা দেখানো হয়েছে৷
আমলযোগ্য অপরাধ যে অপরাধ সমুহ সংগঠিত হলে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অপরাধীকি গ্রেফতার করতে পারে, ১৫৪ ধারায় এজাহার রুজুর মাধ্যমে মামলা করতে পারে, ১৫৬ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত পরিচালনা করতে পারে সেই সকল অপরাধ সমুহকে আমলযোগ্য অপরাধ বলে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ২য় তফসিলের ৩য় কলামে আমলযোগ্য অপরাধের তালিকা প্রদত্ত হয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধকে সাধারণত জামিনঅযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইন সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন
লেখকঃ ল ফর ন্যাশনস, ইমেইলঃ lawfornations.abm@gmail.com, মোবাইল: 01842459590.
Discussion about this post