বিডি ল নিউজ:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি।
অাপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি নাজমুল আরা সুলতানা উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার কোনো আদেশ না দিয়ে মামলাটি পাস অভার করে দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান জানান, খালেদা জিয়ার আপিলটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। চেম্বার বিচারপতি উভয়ের শুনানি শেষে তা পাস অভার করে দেন। অর্থাৎ ওই আপিলের ওপর আবারও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা আপিল আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে করা আপিল কার্যতালিকায় না আসায় শুনানি হয়নি।
জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ অভিযোগ গঠন করে। এ দুই মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে এবং বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১২ মে দুটি রিট করেন খালেদা জিয়া। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৫ মে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিভক্ত আদেশ দেয়। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চে পাঠানো হয়। ১৯ জুন ওই একক বেঞ্চ রিট দুটি খারিজ করেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন (সিএমপি) করেন খালেদা জিয়া। পরে লিভ টু আপিল করা হয়। ৪ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিলের শুনানি শুরু হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। এ মামলার আসামি তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে আছেন। তাকে এ মামলায় পলাতক দেখানো হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে জমি কেনা নিয়ে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
এ দুটিসহ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৭টি ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানও স্বামীর সঙ্গে দুদকের একটি মামলার আসামি।
Discussion about this post