ডেস্ক রিপোর্ট: ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান ও সাবেক মিলেয়ে ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ছয় থেকে সাত বছর ধরেও চলছে অনুসন্ধান।
২২ এমপির মধ্যে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ১৪ জন, জাতীয় পার্টির একজন, বিকল্প ধারার একজন ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং বিএনপির পাঁচজন রয়েছেন। দু-একজনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও চার্জশিট জমা না দেওয়ায় তা বিচার পর্যন্ত গড়ায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে অনুসন্ধান ও তদন্তকাজ অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে।
তাদের প্রায় সবারই বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, খাস জমি দখল, ঘুষ গ্রহণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ অথবা সম্পদের তথ্য জমা দেওয়ার নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
২২ এমপি হলেন- কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও সেলিনা ইসলাম, হাজি সেলিম, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সামশুল হক চৌধুরী, পঙ্কজ দেবনাথ, নজরুল ইসলাম বাবু, এ বি এম মোজাম্মেল হক, ওমর ফারুক চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান মিতা, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মাহী বি চৌধুরী, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, রাশেদ খান মেনন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, মো. শাহজাহান, আব্দুল মোমিন তালুকদার ও মো. শহিদুজ্জামান ইসলাম বেল্টু
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমাদের কোনো কাজ থেমে নেই। তবে করোনা মহামারির এ সময়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত এগিয়ে নেওয়া কঠিন। অভিযোগ-সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য কিংবা নথিপত্র সংগ্রহের কাজ চালু রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমরা থেমে নেই। প্রতিকূল পরিবেশেও মামলা ও চার্জশিটের কাজ চলমান রয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো দল নেই। দল, মত ও ব্যক্তির ঊর্ধ্বে উঠে আইনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে থাকি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে যেসব সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থায় যাচ্ছে দুদক। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশের বিরুদ্ধেই এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যপ্রমাণ অনুসারে মামলা হতে পারে। তবে কোভিড সংক্রমণের কারণে অনুসন্ধান ও তদন্তকাজ এগিয়ে নেওয়া কঠিন। তাই এখন বড় কিছু প্রত্যাশা করা ঠিক নয়।
মানুষ এখন জীবনের জন্য যুদ্ধ করছে। এছাড়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের দেড় শতাধিক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনজন মারা গেছেন। এ বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা উচিত— জানান ওই কর্মকর্তা।
আমাদের কোনো কাজ থেমে নেই। তবে করোনা মহামারির এ সময়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত এগিয়ে নেওয়া কঠিন। অভিযোগ-সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য কিংবা নথিপত্র সংগ্রহের কাজ চালু রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমরা থেমে নেই। প্রতিকূল পরিবেশেও মামলা ও চার্জশিটের কাজ চলমান রয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সরকারদলীয় ১৪ জনের অনুসন্ধান ও তদন্ত
কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও সেলিনা ইসলাম: অবৈধভাবে গ্রাহকদের লোন বরাদ্দ দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার এবং শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধান শেষে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর পাপুল ও তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর তাদের নামের ৬১৩টি ব্যাংক হিসাব আদালতের অনুমতি নিয়ে ফ্রিজ বা অবরুদ্ধ করা হয়। এছাড়া তাদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা মোট ৩০.২৭ একর জমি এবং গুলশানের একটি ফ্ল্যাট এটাচমেন্ট (বাজেয়াপ্তকরণ) করে দুদক। মামলার পর প্রায় এক বছর কেটে গেলেও চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হয়নি কিংবা নতুন কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
হাজি সেলিম: এমপি হাজি সেলিম ও ছেলে ইরফান সেলিমের অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক। দুদকের শিডিউলের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। যদিও গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা- ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
২০১৮ সালের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের পাঁচ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের অনুসন্ধানের অগ্রগতির বিষয়ে জানা যায়-
মোয়াজ্জেম হোসেন রতন: সুনামগঞ্জ- ১ আসনের সরকারদলীয় এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঠিকাদার জি কে শামীমসহ বিভিন্ন প্রভাবশালীর সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা এবং অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব অভিযোগে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন দাবি করেন, একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে তাকে হয়রানি করছেন। তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। বিদেশে তার কোনো বাড়ি নেই। ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর রতন ও তার স্ত্রী মোছাম্মত মাহমুদা হোসেন লতার বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও সামশুল হক চৌধুরী : ক্যাসিনোকাণ্ডসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ভোলা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং চট্টগ্রাম- ১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া যায়। গত ২১ জুন হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে আবারও দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার অনুমতি নেয় দুদক।
পঙ্কজ দেবনাথ: বরিশাল- ৪ আসনের এমপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। সরকারের শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে দুদক তার যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা মেলায় ওই বছরের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকায় ১০ তলা বাড়ি, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, পরিবহন ব্যবসায় বিনিয়োগ, কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতে বিনিয়োগ। হলফনামা অনুসারে গত ১০ বছরে তার সম্পত্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
শুধু তা-ই নয়, নিজ নির্বাচনী এলাকা মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার নয়টি কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে পঙ্কজসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ দায়ের করা মামলার তদন্ত বর্তমানে চলমান রয়েছে।
নজরুল ইসলাম বাবু: ক্যাসিনো-সংশ্লিষ্ট অভিযানের সময় নারায়ণগঞ্জ- ২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হলেও পরবর্তীতে তা ফাইলবন্দী হয়ে পড়ে বলে দুদক সূত্রে জানা যায়।
এ বি এম মোজাম্মেল হক: শরীয়তপুর- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মৎস্য উন্নয়ন অধিদফতরের অর্থে নিজের পুকুর খননের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর ২০২০ সালে সরকারি বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ যুক্ত হয় আগের অনুসন্ধানে সঙ্গে। অভিযোগ আছে, দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে চলমান অনুসন্ধানের কোনো সুরাহা করতে পারেনি দুদক।
ওমর ফারুক চৌধুরী: সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, খাস জমি ইজারায় দুর্নীতি, সারের ডিলার নিয়োগে অনিয়ম, স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মসহ অন্তত ২০ ধরনের অভিযোগ ওঠে রাজশাহী- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের শেষের দিকে এসব অভিযোগের অনুসন্ধানে নামে দুদক। যা এখনও চলমান রয়েছে।
মাহফুজুর রহমান মিতা: ১০ থেকে ২০ শতাংশ ঘুষ নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম- ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। ২০২০ সালের নভেম্বরে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। এরপর অনুসন্ধানে তেমন আর অগ্রগতি দেখা যায়নি।
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান: ২০ লাখ টাকার সম্পদ গোপনসহ এক কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা- ২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
মাহী বি চৌধুরী : ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মাহী দাবি করেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোনো সম্পদ অর্জনের সুযোগ নেই, মানি লন্ডারিংয়েরও সুযোগ নেই। বাংলাদেশের বাইরে যদি কোনো সম্পদ থাকে তা বৈধ আয় থেকেই হয়েছে।
এদিকে, দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় ২০২০ সালে ১২ অক্টোবর মাহী ও তার স্ত্রী আশফাহ হকের বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব জমা দিতে নোটিশ পাঠায় দুদক। সম্পদের হিসাব জমা দিলেও তা এখনও মামলার পর্যায়ে যায়নি।
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার: একই ধরনের অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও পটুয়াখালী- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক দফা তলব করা হলেও দুদকে হাজির হননি তিনি।
রাশেদ খান মেনন: অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বে থাকাকালীন নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
একইভাবে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে নরসিংদী- ২ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন, যুবলীগ নেতা ও নরসিংদী- ৩ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বিরুদ্ধেও।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে যারা আছেন
নাটোর- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, লালমনিরহাট- ৩ আসনের আসাদুল হাবিব দুলু, নোয়াখালী- ৪ আসনের মো. শাহজাহান, বগুড়া- ৩ আসনের আব্দুল মোমিন তালুকদার এবং ঝিনাইদহ- ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শহিদুজ্জামান ইসলাম বেল্টুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও সেগুলো অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে রুহুল কুদ্দুস দুলুর বিরুদ্ধে বিএনপি সরকারের আমলে নাটোরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায়পূর্বক ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৮ সালে মার্চে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অগ্রগতি বলতে দুলু ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে থাকা মোট সাত কোটি ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৪ টাকা জব্দ করা হয়। তিন বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনও মামলা হয়নি।
অন্যদিকে, আসাদুল হাবিব দুলু ও শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও অনুসন্ধান পর্যায়ে তেমন অগ্রগতি নেই বলে জানা গেছে। আব্দুল মোমিন তালুকদার ও শহিদুজ্জামান ইসলাম বেল্টুর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
Discussion about this post