ঘুষ নিয়ে জামিন করানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা। তবে অপরাগতা প্রকাশ করে সেটি তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে রিট মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
আদালতে আজ (২ নভেম্বর) দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। রিটের পক্ষে ছিলেন জেড আই খান পান্না।
গত ২৯ অক্টোবর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত নোটিশে তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
চিঠিতে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য আগামী ৪ নভেম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি ও চাহিদা দেওয়া নথি-পত্রসসহ তাকে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ কক্ষ নং-২০৯ ঠিকানা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
পরে গত ১ নভেম্বর ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা।
আরো পড়ুন
Discussion about this post