ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?
ড্রাইভিং লাইসেন্স জানার আগে জেনে নিন লাইসেন্স কি? “লাইসেন্স” অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি অভিজ্ঞতা যা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব প্রদান করে কর্তৃপক্ষ অনুমতি প্রদান করে দলিল প্রদান করেন তাকে লাইসেন্স বলে।“ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি মোটরযান যা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মোটরযান চালানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব প্রদান করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দ্বারা প্রদত্ত দলিলকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন প্রয়োজন ?
মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ৩ অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি গাড়ি চালানোর জন্য তাকে কর্তৃত্বদান করে প্রদত্ত কার্যকর একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারণ না করে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে কোন মোটরযান চালাবে না এবং কোন ব্যক্তি তার ড্রাইভিং লাইসেন্সে নির্দিষ্টরূপে তদ্রুপ অধিকার প্রদত্ত না হলে বেতনভোগী কর্মচারী হিসেবে কোন মোটরযান চালাবে না অথবা কোন পরিবহনযান চালাবে না সে জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।
পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মধ্যে পার্থক্য কি ?

পেশাদার লাইসেন্সঃ
যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক বেতনভোগী কর্মচারী হিসেবে কোন মোটরযান চালিয়ে থাকেন তাকে পেশাদার লাইসেন্স বলে। এই লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর এবং লাইসেন্স পেতে পুলিশ ভেরিকেশন রিপোর্ট প্রয়োজন। ৫ বছর পর নবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয় এবং ব্যবহারিক পরিক্ষা দিতে হয়।
অপেশাদার লাইসেন্সঃ
যে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কোন চালককে বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে হালকাযান চালানো অথবা পরিবহনযান ভিন্ন অন্যান্য মোটরযান চালানোর কর্তৃত্ব জন্য প্রদান করা হয় তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে। এ লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর। অপেশাদার লাইসেন্স পেতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হয়না। মেয়াদ উত্তীর্ণের পর নবায়ন পরীক্ষা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। অপেশাদার লাইসেন্স দিয়ে মাঝারিযান বা ভারীযানবাহন চালাতে পারবেন না।
আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান । আপনাকে কী কী করতে হবে ?

ড্রাইভিং লাইসেন্স
ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স।ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ।অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে।মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া :
গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণক, তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন অনলাইনে আবেদন।
২। আবেদনকারীর ছবি [ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)]
৩। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ফর্মের জন্য এখানে ক্লিক করুন ]
৪। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৫। ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), [ আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে ]
৬। বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি [ ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৭। অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৬৭৯/-টাকা ও অপেশাদার- ২৫৪২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতিঃ
(১) পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে,
(২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
(৩) পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
[বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ]
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া:
(ক) অপেশাদারঃ
গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
(খ) পেশাদারঃ
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্ত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড -এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ;
৫। নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ।
৬। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৭। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
ডুপ্লিকেট লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া :
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
৩। নির্ধারিত ফী (হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৮৭৫/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৪। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
লাইসেন্স প্রাপ্তির বয়সসীমা কত ?
অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে।মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
আপনার মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। আপনি হালকা মোটরযান (প্রাইভেটকার/জীপ/মাইক্রোবাস) চালাতে চান। আপনাকে কী করতে হবে ?
আপনাকে পূর্বের ড্রাইভিং লাইসেন্সের সাথে নতুন মোটরযান সংযোজন (Addition) করতে হবে। এজন্য হালকাযানের লার্ণার করে ডিসিটিবি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। মূল আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় পূর্বের লাইসেন্স জমা দিতে হবে এবং ফরমের addition to DL ঘরে টিক চিহ্ন দিতে হবে। এরপর ফি জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক প্রদান করতে হবে।
লার্ণার লাইসেন্স দিয়ে কি রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে ?
লার্ণার (শিক্ষানবীশ) লাইসেন্স দিয়ে পাবলিক প্লেসে গাড়ি চালানো / ড্রাইভিং শেখা যাবে না।
আপনার লার্নার এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আপনি কি লার্নার নবায়ন করতে পারবেন, নাকি নতুন লার্ণার নিতে হবে ?
লার্নারে ইস্যু তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেয়া থাকে। অধিকাংশ সময় পরীক্ষার্থী সংখ্যার অধিক হওয়ায় মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখের মধ্যে পরিক্ষা নেয়া সম্ভব হয়না। সেক্ষেত্র, পরিক্ষার তারিখ পর্যন্ত মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ বলবৎ থাকবে। পরীক্ষার আগে আপনাকে লার্নার নবায়ন করতে হবে না।
আপনি পরিক্ষার তারিখে অনুপস্থিত থাকলে আপনাকে ব্যাংকে ৮৭ টাকা জমা দিয়ে ঐ লার্ণার নবায়ন করে নিতে হবে। উল্লেখ্য পরিক্ষা যদি ৬ মাস পর অনুষ্ঠিত হয় এবং আপনি উক্ত তারিখে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে আপনাকে নতুন করে লার্নার নিতে হবে।
লার্নার কতবার নবায়ন করা যায় ?
লার্নার ৮৭ টাকা জমা দিয়ে পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো যায়। । অর্থা্ৎ মোট একবার নবায়ন করা যায় (প্রথম ইস্যু তারিখ থেকে ৬ মাস সময় পর্যন্ত )। ৬ মাস অতিক্রান্ত হলে পুনরায় নতুন করে লার্নার সংগ্রহ করতে হবে।
লার্ণার ফরমের মেডিকেল সার্টিফিকেট কার কাছ থেকে নিতে হবে ?
লার্নার ফরমে সংযুক্ত মেডিকেল সার্টিফিকেট যে কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর ছাড়াও প্রার্থীর ছবিসহ স্বাক্ষর করবেন এবং ফরমের তথ্যসমূহ পূরণ করবেন।
লার্নার ফরম কি বাংলায় পূরণ করবেন নাকি ইংরেজিতে ?
লার্ণার ফরম ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে (Capital Letter) পূরণ করতে হবে। মেডিকেল সার্টিফিকেট বাংলায় পূরণ করতে হবে।
লার্নার ফি কোথায় জমা দেবেনঃ-
বিআরটিএ’র নির্দিষ্ট ব্যাংকে ফি জমা দিতে পারবেন। brta.porta.gov.bd থেকে জেলা অনুযায়ী ব্যাংকের নাম সার্চ উক্ত ব্যাংকে ফি জমা দিতে পারবেন।
এছাড়া ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে www.ipaybrta.cnsbd.com থেকে ফি জমা দিতে পারবেন।
ব্যাংকের কত কোড নাম্বারে ফি জমা দেবেনঃ-
ব্যাংকের নির্দিষ্ট কাউন্টারে নিজের নাম ও পিতার নাম বলে লার্ণার খাতে ফি জমা দেয়া যায়।
লার্নার ফরম কোথায় পাওয়া যায় ?
মজুদ থাকা সাপেক্ষে বিআরটিএ কার্যালয়ে বিনামূল্যে লার্ণার ফরম পাবেন। এছাড়া brta.portal.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।এছাড়াও বিআরটিএ কার্যালয়ের আশেপাশের ফটোকপি/স্টেশনারি দোকানে লার্ণার ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
লার্ণারে নাম/পিতার নামের বানান ভুল হয়েছে। কিভাবে সংশোধন করবেনঃ-
আপনি ব্যাংকে ফি জমা দেয়ার সময় যেভাবে বানান লিখেছেন লার্ণার কার্ডে সেভাবেই লিপিবদ্ধ থাকে। টাকা জমার রশিদে ভুল হলে তৎক্ষনাৎ ব্যাংক কাউন্টারে অবহিত করলে তারা ঠিক করে দিতে পারেন। নতুবা নতুন ফি জমা দেয়া ছাড়া নাম সংশোধনের উপায় নেই। তবে, পাশ করার পর আবেদন ফরমে সঠিক বানান লিখলে তা সংশোধন করা যাবে।
আপনি কি অনলাইনে লার্ণারের জন্য আবেদন করতে পারবেন?
জ্বি, আপনি অফিসে না গিয়ে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করে অনলাইনে লার্ণার এর জন্য আবেদন করে সাথে সাথে লার্ণার কার্ড পেতে পারেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা কারা নেন? ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ড (ডিসিটিবি) কি?
মোটরযান বিধিমালা ১৯৮৪ এর বিধি ৬ অনুযায়ী প্রত্যেক মেট্রো এবং জেলায় ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ড (ডিসিটিবি) থাকবে। যা নিমোক্ত সদস্যদের নিয়ে গঠিতঃ
জেলা ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ড
১- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট- চেয়ারম্যান
২- পুলিশ সুপার মনোনীত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা
৩- সিভিল সার্জন মনোনীত মেডিকেল অফিসার
৪- বিআরটিএ ‘ র মোটরযান পরিদর্শক-সদস্য সচিব
মহানগর ডিসিটিবিঃ
১- অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম- চেয়ারম্যান
২-উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) বা পুলিশ কমিশনার মনোনীত সহকারী পুলিশ কমিশনার।
৩-মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মনোনীত সহকারী অধ্যাপক
৪-সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের চীফ ইঞ্জিনিয়ার কর্তৃক মনোনীত ম্যাকানিকাল বা অটোমোবাইল সাবডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার
৫- সংশ্লিষ্ট এলাকার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মনোনীত ইন্সট্রাক্টর
৬- বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক -সদস্য সচিব
সুতরাং আপনি পরিক্ষায় পাশ না ফেল করেছেন তা সকলের সম্মতিতে নির্ধারণ হয়।
পরিক্ষায় পাশ করার পর আপনার মূল লার্ণার হারিয়ে ফেলেছেন। এখন আপনি কি করবেন?
থানায় জিডি করে লার্নার এর প্রতিলিপি সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংকে ফি জমা দিতে হবে ।
আপনার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে । আপনি কিভাবে লাইসেন্স নবায়ন করবেন?
(১) অপেশাদার লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়াঃ
গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ……./- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ……/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
(২) পেশাদার লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়াঃ
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহন করতে হবে। প্রশিক্ষনের দ্বিতীয় দিন ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ……/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ……./- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
আপনার স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ এখনো ১ বছরের অধিক রয়েছে। আপনি কি লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন?
উত্তর না, আপনার স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ১ বছরের অধিক সময় থাকলে আপনি লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন না। আপনার লাইসেন্সের মেয়াদ ১ বছরের কম সময় হলেই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন।
আপনার হালকাযান চালানোর লাইসেন্স আছে। আপনি কি এই লাইসেন্স দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন?
না, হালকা/মধ্যম/ভারীযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন না। আপনাকে পরীক্ষার মাধ্যমে মোটরসাইকেল লাইসেন্স পূর্বের লাইসেন্সের সাথে সংযুক্ত (Addition to DL) করে নিতে হবে।
আপনার পেশাদার মোটরযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। আপনি কি অপেশাদার মোটরসাইকেল লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন?
হ্যা, আপনার পেশাদার হালকাযান ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে আপনি মোটরসাইকেল লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন । আপনাকে পরীক্ষার মাধ্যমে মোটরসাইকেল লাইসেন্স পূর্বের লাইসেন্সের সাথে সংযুক্ত (Addition to DL) করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ৫ বছর।
আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেছে। আপনাকে প্রতিলিপি তোলার জন্য যা যা করতে হবেঃ-
আপনাকে প্রতিলিপির জন্য আবেদন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
৩। নির্ধারিত ফী (হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে …../-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৪। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
মনে করুন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স রাজশাহী থেকে করা ছিল । উক্ত লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।এখন প্রশ্ন আমি কি চট্রগ্রামে নবায়ন করতে পারব কি ?
হ্যা, পারবেন। এজন্য আপনাকে রাজশাহীর লাইসেন্স চট্রগ্রামে ট্রান্সফার করে নিয়ে আসতে হবে। আপনাকে চট্রগ্রাম বিআরটিএ অফিসে লাইসেন্স ট্রান্সফারের নির্ধারিত ফরমে লাইসেন্স কপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ আবেদন করতে হবে। লাইসেন্স ট্রান্সফার হয়ে চট্রগ্রাম চলে আসার পর ফি ও আবেদনপত্র জমা দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন।
আমার পেশাদার হালকাযান/মাঝারিযান/ভারীযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। আমি কি অপেশাদার লাইসেন্স করতে পারব?
হ্যা, আপনার পেশাদার লাইসেন্স থাকলে অপেশাদার লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবেন। এজন্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বরাবর নির্ধারিত আবেদন ফরম (Conversion of Driving licence) পূরণ করে দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে পেশাদার লাইসেন্স নবায়নের জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনের প্রয়োজন নেই। ফরম পূরণ ও নবায়ন/প্রতিলিপি (যেটা প্রযোজ্য) ফি জমা দিয়ে অপেশাদার লাইসেন্স পেতে পারেন।
আমি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই। আমার বাংলাদেশী পাসপোর্ট আছে। আমার কি পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে?
পাসপোর্ট থাকার পরও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পেশাদার লাইসেন্স করতে হলে আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট লাগবে ।
আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্ম তারিখের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখের গরমিল রয়েছে। আমি কি লাইসেন্সের জন্মতারিখ সংশোধন করতে পারব?
ড্রাইভিং লাইসেন্সে First Issue/ প্রথম ইস্যুর তারিখ উল্লেখ থাকে। জন্মতারিখ পরিবর্তন করার ফলে যদি ড্রাইভিং প্রথম ইস্যুর তারিখ ১৮ বছরের কম (অপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে) তাহলে আপনি জন্মতারিখ সংশোধন করতে পারবেন না।
২) যদি আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্রের পূর্বে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্মতারিখ অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হবে।
৩) অন্যান্য ক্ষেত্রে, আপনার জন্মসনদ/এসএসসি সার্টিফিকেট/ জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ সংশোধন করা যায়। এজন্য, নির্ধারিত ফরম পূরণ ও নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামা দাখিল করণ এবং ব্যাংকে সংশোধনী ফি জমা দিতে হবে।
আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স আমি কি অনলাইনে যাচাই করতে পারব?
ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইনে যাচাই করা যায় না। তবে এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স তথ্য যাচাই করতে পারবেন। ?
এক্ষেত্রে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে টাইপ করতে হবেঃ
DL<space>V<space>Driving Licence Number
ম্যাসেজটি লিখে পাঠিয়ে দিবেন 26969 নাম্বারে।
উদাহরণঃ DL V DK0066788CL0001 লিখে পাঠিয়ে দিন 26969 নাম্বারে। ফিরতি এসএমএসে লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।
আমি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ফিংগার প্রিন্ট দিয়েছি। আমার লাইসেন্স কার্ড এর বর্তমান অবস্থা কিভাবে জানব?
“আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কার্ড প্রিন্ট ও সরবরাহের বর্তমান অবস্থান জানতে “DL<স্পেস>ড্রাইভিং লাইসেন্স এর রেফারেন্স নম্বর ” লিখে মেসেজ সেন্ড করুন 26969 নম্বরে।
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা:
১। মোবাইলে টাকা থাকতে হবে বানডেল এসএমএস থাকলে চলবে না
২।। রেফারেন্স নম্বর এ যদি কোনো ডেশ (“-”) থাকে বা স্পেস থাকে তাহলে SMS লিখার করার সময় তা বাদ দিতে হবে। স্ল্যাশ (“/”) থাকলে দিতে হবে।
৩। যদি আপনি নবায়ন/সংশোধন/সংযোজন এর জন্য আবেদন করে থাকেন আর আপনার ফিরতি মেসেজে পূর্বের ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর তথ্য যেমন: QC Date/ Delivered/ Dispatched ইত্যাদি প্রদর্শন করে তবে বুঝতে হবে এখনো সার্কেল অফিস থেকে আপনার আবেদনটির নবায়ন/সংশোধন/সংযোজন এর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়নি। এমতাবস্থায় সার্কেল অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য মোবাইলে এসএমএস এসেছে। কিন্তু আমি ফিংগারপ্রিন্ট দেয়ার পর যে স্লিপ দেয়া হয়েছিল সেটা হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারব?
না, আপনাকে জিডি করে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিয়ে মূল লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য মোবাইলে এসএমএস এসেছে। ব্যস্ততার কারণে আমি নিজে গিয়ে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারব না। আমার পক্ষে অন্য কেউ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবে?
আপনার পক্ষে অন্য কেউ লাইসেন্স সংগ্রহ করলে লাইসেন্সিং অথরিটি বরাবর সংগ্রহকারীর নমুনা স্বাক্ষরসহ লেটার অব অথরাইজেশন দিতে হবে।
আমি মোটরসাইকেল ও হালকাযান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার JS0454408CL001 এটা দিয়ে আমি কি করে বুঝব যে আমাকে কোন ধরনের মোটরযান চালানোর অনুমতি দেয়া আছে?
আপনার লাইসেন্স নাম্বারের মধ্যে দুইটি লেটার রয়েছে “CL”. C দ্বারা মোটর Cycle এবং L দ্বারা Light বোঝায়। অর্থাৎ আপনার লাইসেন্স দ্বারা আপনি মোটরসাইকেল ও হালকাযান চালাতে পারবেন।
অনুরূপঃ M দ্বারা (Medium) মাঝারিযান H দ্বারা (Heavy) ভারীযান
T দ্বারা (Three Wheeler) তিন চাকার যান
X দ্বারা অন্যান্য যান নির্দেশ করে।
একজেলার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি অন্য জেলায় গাড়ি চালাতে পারব?
হ্যা, একজেলার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি সমগ্র বাংলাদেশে গাড়ি চালাতে পারবেন।
আমার বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। এটা দিয়ে কি আমি বিদেশে গাড়ি চালাতে পারব?
না, এদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে বাংলাদেশের সীমানার ভিতর মোটরযান চালাতে পারবেন। বিদেশে গাড়ি চালাতে হলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে। অথবা আপনাকে International Driving Licence সংগ্রহ করতে হবে।
বিদেশে গাড়ি চালানোর জন্য আমি কিভাবে International driving Licence পেতে পারি?
বিআরটিএ হতে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট ইস্যু করা হয় না। অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ১ বছর মেয়াদী আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট ইস্যু করে থাকে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। পাসপোর্টসহ পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি।
২। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিআরটিএ হতে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি।
৩। সত্যায়িত ছবি (১ কপি পাসপোর্ট ৩ কপি স্ট্যাম্প)
৪। ফি বাবদ ……… টাকা
এতদসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ৩বি আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ (ফোন: ৯৩৬১০৫৪, ৯৩৪১৩৪২, মোবাইল: ০১৭১১-৮১৯৯৫৮, ০১৬১১-৮১৯৯৫৯, ০১৯৭৯-২৯৯৭৮৬) -এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে সত্যায়িত করব?
লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বরাবর সাদা কাগজে সত্যায়িত করার জন্য আবেদন করবেন। সংযুক্ত করতে হবেঃ ১। ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপিসহ দুই সেট ফটোকপি ২।ব্যাংকে Miscellaneous খাতে ভ্যাটসহ …. টাকা জমা রশিদ।
আমি বিআরটিএ’তে ড্রাইভিং শিখতে চাই । কিভাবে শিখতে পারি?
বিআরটিএ’তে ড্রাইভিং শেখার কোন ব্যবস্থা নেই। আপনি বিআরটিসি’র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অথবা বিআরটিএ অনুমোদিত মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল হতে ড্রাইভিং শিখতে পারেন।
লার্ণার করার পর আমার পরিক্ষার তারিখ পড়েছে ১ বছর পর। এত দীর্ঘসময় নেয়ার কারণ কি?
একটি ডিসিটিবি বোর্ডে পরিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫০-২০০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ঢাকায় লাইসেন্স প্রার্থীদের সংখ্যা অধিক হওয়ায় পরিক্ষার তারিখ দীর্ঘসময় পরে অনুষ্ঠিত হয়। পরিক্ষার্থীর সংখ্যার উপর নির্ভর করে তা ২ মাস থেকে ১ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়। এজন্য দেখবেন কোন জেলায় ৩-৪ পর পরীক্ষা হয় আবার কোন জেলায় ১ বছর পর পরিক্ষা হচ্ছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিক্ষার দিন কি আমাকে বাইক/গাড়ি নিয়ে যেতে হবে? নাকি আপনারা সরবরাহ করবেন?
বিআরটিএ’র ড্রাইভিং ফিল্ডটেস্ট নেয়ার জন্য নিজস্ব কোন মোটরযান নেই। আপনি যে ধরনের মোটরযানের পরিক্ষা দিবেন ব্যবহারিক পরিক্ষার (ফিল্ডটেস্ট) সময় ঐ ধরনের মোটরযান নিয়ে মাঠে উপস্থিত হতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন আসে? নমুনা প্রশ্ন কোথায় পেতে পারি?
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিক্ষা ৩ ধাপে সম্পন্ন হয়। ১- লিখিত ২- মৌখিক ৩- ব্যবহারিক (ফিল্ডটেস্ট)। পরিক্ষায় সাধারণত ট্রাফিক আইন-কানুন, ট্রাফিক চিহ্নাবলী, ইঞ্জিন মেকানিজম, ইঞ্জিন ট্রাবলশুটিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন হয়ে থাকে।
পরীক্ষার দিন আমাকে সাথে করে কি কি নিতে হবে?
পরিক্ষার দিন আপনাকে মূল লার্নার কার্ড, কলম নিতে হবে।যে ধরনের মোটরযানের পরিক্ষা দিবেন ব্যবহারিক পরিক্ষার (ফিল্ডটেস্ট) সময় ঐ ধরনের মোটরযান নিয়ে মাঠে উপস্থিত হতে হবে।
কতসময় লাগে পরিক্ষা শেষ হতে? আমার অফিসে অনেক কাজ। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ ছুটি দিতে চায় না। আমি কি অফিস থেকে ২/৩ ঘন্টা ছুটি নিয়ে পরিক্ষা সম্পন্ন করতে পারব?
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিক্ষা ৩ ধাপে সম্পন্ন হয়। ১- লিখিত ২- মৌখিক ৩- ব্যবহারিক (ফিল্ডটেস্ট)। ১৫০-২০০ জন পরিক্ষার্থীর পরীক্ষা সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। আপনাকে ছুটি ম্যানেজ করে সারাদিন ব্যাপী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
সাবধানে গাড়ি চালান নিরাপদ থাকুন। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়েই হ্যালমেট পরিধান করুন।ধন্যবাদ
লেখকঃ ল ফর ন্যাশনস, ইমেইলঃ lawfornations.abm@gmail.com, ওয়েবসাইটঃ www.lawfornations.com, মোবাইল: 01842459590.
Discussion about this post