ডেস্ক রিপোর্ট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মো. মহিউদ্দিন এবং বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক তাহেরের পরিবারের সদস্যরা।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যাপক তাহেহের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, ১৫ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। তবে, এ রায় দ্রুত কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় ড. তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ, মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা আহমেদ, তাদের পরিবারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, শাকিলা রওশন উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১৬ মার্চ উভয়পক্ষের (রাষ্ট্র ও আসামি) করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ (৫ এপ্রিল) দিন রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।
আদালতে ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। এছাড়া ছিলেন অধ্যাপক ড. এস তাহেরের মেয়ে আইনজীবী সাগুফতা। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম।
হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি ছিলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আর সাজা কমিয়ে হাইকোর্ট মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আব্দুস সালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। অন্যদিকে, সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় দুজনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। পরে নিয়মানুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
Discussion about this post