নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যান্য ছাত্রদের ওপর নৃশংস হামলার প্রশাসন নিজেই মদদদাতা বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থাকতে কি করে এই হিংস্র হামলা হয়। আমি বিশ্ববিদ্যালযয়ের এই ব্যার্থ প্রশাসনের পদত্যাগ চাই।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত নুরকে দেখার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেছেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ভবনের কক্ষে এরকম নৃশংস হামলা হয় কীভাবে? এটা আমাদের বোধগম্য নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আছে নাকি নেই? আমাদের তো মনে হচ্ছে নেই। ঢাবি প্রশাসনের যদি কোনো প্রশাসনিক চরিত্র থাকত, তাহলে এভাবে ছাত্রদের ওপর কোনো একটি পক্ষ লাইট অফ করে হামলা করত না।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ভিপি নুর সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাঙ্গন, সারাদেশ ও ভারতসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ভিপি নুরের এসব বক্তব্যের ওপর নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত একজন ভিপি কী বক্তব্য দেবেন-এটা প্রক্টর নির্ধারণ করবেন না। একজন ভিপি শিক্ষাঙ্গন, সারাদেশ এমনকি সারাবিশ্ব নিয়ে কথা বলতে পারবে। এটি তার স্বাভাবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রক্টর ভিপির বক্তব্যের ওপর যে মন্তব্যগুলো করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে এই হামলায় তার সমর্থন আছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তাদের বর্তমান ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে, তারাও এই হামলাগুলোর সঙ্গে জড়িত। তারাই এসব করাচ্ছেন কিনা, এটি আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগ চাই।
উল্লেখ্য, রবিবার বেলা ১টার দিকে ডাকসু ভবনে গিয়ে ভিপির কক্ষ এবং ডাকসু ভবনে তাণ্ডব চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের লোকজন। এ সময় নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ডাকসু ভিপি। যেখানে হামলা-ভাঙচুরে ভিপি নুরসহ আটজন আহত হয়েছেন। হামলার পর আহত ডাকসু ভিপি নুরুল হক অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেনসহ অন্যদের সাহায্য চেয়ে আকুতি জানাতে দেখা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। হামলায় অন্তত ৩২ জন আহত হন।
Discussion about this post