খাইরুল ইসলাম: প্রকৃতিবাদে বিশ্বাসী হওয়া বা নাস্তিক হওয়া বাংলাদেশের আইনে অপরাধ কিনা এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে, আসলে ”বাংলাদেশের দন্ডবিধি এবং তথ্য অধিকার আইনে কেউ নাস্তিক থাকতে পারেন, কিন্তু তার লেখালেখির মাধ্যমে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।” ব্লগারদের এমন এক সময়ে গ্রেফতার করা হলো যখন ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্টরা এসব গ্রেপ্তারের ঘটনায় সরকারের নিন্দা জানিয়েছেন।
জাতীয় স্বার্থে অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট-এর সমন্বয়ক পারভেঝ আলম মনে করেন, এ ঘটনার মাধ্যমে সরকার হেফাজতে ইসলামের দাবির কাছে কার্যত নতিস্বীকার করল। ”এ ঘটনার মাধ্যমে সরকার হেফাজতে ইসলামে ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী কিছু দাবির কাছে আপোষ করছে। একই সাথে ব্লগাররা গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এমন একটি শক্তি হিসেবে যে সম্ভাবনা দেখাচ্ছিল সরকার তা নস্যাৎ করে দিচ্ছে। ”গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করে দেয়াসহ যে ১০ জন ‘নাস্তিক’ ব্লগারের ফাঁসির দাবি তোলে হেফাজতে ইসলাম, তাদের তালিকায় আসিফ মহিউদ্দীনের নাম ছিল।এর আগে ব্লগে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে গত ১৪ই জানুয়ারি রাতে উত্তরায় তার ওপর হামলা হয়।ছুরিকাঘাতের গুরুতর জখম নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।মি. মহিউদ্দীনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ গত ১লা এপ্রিল চারজন যুবককে গ্রেপ্তার করেন।অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত চার ব্লগারের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা এবং টিএসসিতে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি এবং রাজনীতিবিদদের কয়েকটি সংগঠন পৃথকভাবে মানব-বন্ধন এবং সংহতি সমাবেশ করেছে।
Discussion about this post