১। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫১ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর যদি তার জামিনের ব্যবস্থা থাকে তাহলে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে। এক্ষেত্রে আসামীকে হাজত খানায় রাখর প্রয়োজন নাই। পিআরবি ৩১৭ বিধি।
২। যদি আসামীর জামিনের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে তার দেহ তল্লাশী করে পরিধেয় বস্ত্র ব্যতীত যা পাওয়া যাবে তা হেফাজতে নিতে হবে এবং এর একটি তালিকা আসামীকে দিতে হবে। পিআরবি ৩২২ বিধি।
৩। আসামী যদি মহিলা হয় তবে ফৌজদারী আইনের ৫২ ধারা অনুসারন করে দেহ তল্লাশী করতে হবে এবং মহিলা আসামীর নিকট হতে চুড়ি, শাখা, সঙ্খ নেওয়া যাবে না। পিআরবি-৩২৮ বিধি।
৪। আসামীর নিকট কোন মারাত্মক অস্ত্র পাওয়া গেলে ফৌজদারী কার্যবিধি -৫৩ ধারা মোতাবেক তা হেফাজতে নিতে হবে এবং একটি জব্দ তালিকা তৈরী করতে হবে।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামী যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৬ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পিআরবি ৩২১ বিধি।
৬। আসামীর দেহে বা শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন খাকে তাহলে পিআরবি ২৬২ বিধি মোতাবেক নিরপেক্ষ স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে উক্ত আঘাতের চিহ্ন সনাক্ত পূর্বক জিডিতে এন্ট্রি করতে হবে।
৭। হাজত খানার ভিতরে প্রবেশ করে আত্মহত্যা করার মত কোন জিনিস বা কোন প্রকার রশি, লাঠি থাকলে তা সরিয়ে নিতে হবে এবং হাজত খানার দরজা জানালা ঠিক আছে কি না তা দেখতে হবে। পিআরবি-২২৮ বিধি।
৮। পিআরবি ৩২৯ মোতাবেক হাজত খানার সেন্ট্রি/প্রহরী নিয়োগ করতে হবে।
Discussion about this post