অ্যাডভোকেট মোঃ নওশাদ পারভেজ<>বাংলাদেশে ছোট-বড় ২৩০টি নদ-নদী আছে। এর মধ্যে ৯৭টি মৃতপ্রায়। নদ-নদী পুনরুজ্জীবিত করার সুপরিকল্পিত কর্মকৌশল প্রণয়নের জন্য নদী কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন পরিবেশবাদীরা। কমিশন গঠনের নির্দেশ ছিল আদালতেরও।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, নদ-নদী দখলমুক্ত করা, তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদী খনন, পানি দূষণমুক্ত রাখাসহ আটটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে গঠন করা হবে নদী রক্ষা কমিশন। কমিশনে একজন চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সদস্য থাকবেন। পাঁচ সদস্যের একজন হবেন সার্বক্ষণিক, চারজন অবৈতনিক। সদস্যদের মধ্যে একজন নদী অথবা পানি বিশেষজ্ঞ, একজন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, একজন নদী প্রকৌশলী, একজন মানবাধিকারকর্মী বা আইনবিদ থাকবেন। এঁদের একজন হবেন নারী। চেয়ারম্যান হবেন কমিশনের প্রধান নির্বাহী।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কমিশন গঠনের জন্য অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই।’ তিনি বলেন, আইন করা বড় কথা নয়, যে উদ্দেশ্যে এই আইন করা হচ্ছে, তা বাস্তবায়ন করাই মূল বিষয়।
Discussion about this post