নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার থাকায় তাকে বর্তমানে কারাগারেই থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানি শেষে সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানার জিম্মায় এক মাসের জন্য এই জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি সানির জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী মুরাদুজ্জামান মুরাদ ও জুয়েল আহমেদ। ওইদিন আদালত শুনানির জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আরাফাত সানিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদুর রহমান।
অন্যদিকে তার আইনজীবী মুরাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী দুই আবেদনই নামঞ্জুর করে সানিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা করেন তার স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। এরপর আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।
৮ ফেব্রুয়ারি আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে মোহাম্মদপুর থানা।
উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা প্রথম মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। ১৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
Discussion about this post