ফেনী প্রতিনিধি: নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির (শ্লীলতহানি) ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার চার্জ গঠনের জন্য আগামী ১৭ই জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদের আদালত মামলাটির চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করে।
ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহমেদ জানায়, ফেনী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালত থেকে যৌন হয়রানির (শ্লীলতহানি) মামলাটি ইতিপূর্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে স্থানান্তর হলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চার্জশিটের ওপর শুনানি হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু বলেন, গত ৪ঠা জুলাই ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানীর মামলায় চাজশিটের ওপর শুনানী শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের স্থানান্তর করা হয়। মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ হবে কি-না এবিষয়ে শুনানির জন্য ৯ জুলাই ধার্য করেছিলো।
আর আগে গত ৩রা জুলাই ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে চার্জশিট জমা দেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই ফেনীর পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহ আলম। ২৭১ পৃষ্ঠার ডকেটসহ ১০ পৃষ্ঠার দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে (চার্জশীট) একমাত্র আসামী সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (বহিস্কৃত) সিরাজ উদ-দৌলা। দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে ডাক্তার ও পুলিশসহ মোট ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ফেনীর পরিদর্শক শাহ আলম জানান, গত ২৭শে মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। ওইদিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে।পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মামলাটি পিবিআই ফেনীকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই দায়িত্ব গ্রহণের ৯৬ দিনের মাথায় গত ৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Discussion about this post