পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার হাজিরহাট লঞ্চ ঘাটে ঢাকা-রাঙাবালী রুটের এমভি জাহিদ-৩ লঞ্চে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে স্টাফ ও কর্মচারীদের নির্যাতন এবং ক্যাশ ভেঙ্গে নগদ প্রায় চার লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ এসেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন, ওরফে লিটন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই তিনি এলাকা ছেড়ে পলাতক।
এ বিষয়ে গত ১৯ নভেম্বর দশমিনা থানায় চাঁদাবাজি ও ডাকাতির ঘটনায় লিটন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করেন ঢাকা-রাঙাবালী রুটের লঞ্চ এমভি জাহিদ-৩ এর ক্যাশিয়ার মো. ইউসুফ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৭ নভেম্বর এমভি জহিদ-৩ লঞ্চ টি রাঙাবালী থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে যাত্রী নেয়ার উদেশ্যে হাজিরহাট লঞ্চ ঘাটে ভিড়লে ৪নং দশমিনা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন ও তার ছোট ভাই মো. সায়েমসহ তাদের সহযোগীরা জোরপূর্বক চাঁদা দাবি করেন।
এর প্রতিবাদ করায় একই দিনে পায়রা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা আসা এমভি জাহিদ-৮ লঞ্চটি হাজির হাট লঞ্চ ঘাটে ভিড়লে শুরু হয় নারকীয় অত্যাচার।
লিটন চেয়ারম্যান ও তার দলবল প্রকাশ্যে লঞ্চটির মালিক মো. জাহিদ মেলকারের কাছে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ হারে মাসিক চাঁদা দাবি করে হুমকি দেন, চাঁদা না দিলে ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে দেয়া হবে না। এতে লঞ্চ মালিক অসম্মতি জানালে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণের হুমকি দেন লিটন চেয়ারম্যান ও তার দলবল।
এ ঘটনার জের ধরে ১৯ নভেম্বর বিকালে দশমিনা থানার আউলিয়াপুর লঞ্চ ঘাটে এমভি জাহিদ- ৩ লঞ্চে অতর্কিত হামলা চালায় লিটন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা।
রাম দা, লাটিসোঁটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসী বাহিনী কুপিয়ে ও পিটিয়ে লঞ্চের স্টাফ ও কর্মীদের জখম করে। লঞ্চে র ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে নগদ চার লাখ টাকা নিয়ে যায়। হামলায় আহতদের পটুয়াখালী ও বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে মামলার পরপরই পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন লিটন চেয়ারম্যান।
Discussion about this post