ক্রীড়া প্রতিবেদক: জাতীয় দলে অনিয়মিত হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব নিয়মিতই খেলছিলেন। জাতীয় লিগের ম্যাচ চলাকালে টিমমেট আরাফাত সানি জুনিয়রকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এই পাঁচ বছরের শাস্তির মধ্যে আবার দুই বছর স্থগিত রাখা হয়েছে। এই দুই বছর সে বিসিবির কড়া নজরদারিতে থাকবে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার পর জাতীয় লিগ টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এতথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা শাহাদাত হোসেন রাজিবকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছি। এর মধ্যে প্রথম তিন বছর সে বিসিবির অধীনে কোনরকম ক্রিকেটীয় কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারবেনা। পরের দুই বছর সে কড়া নজরদারিতে থাকবে। তখন কোনরকম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে পুরো ৫ বছর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে।
এর আগে রবিবার (১৭ নভেম্বর) খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে সতীর্থ খেলোয়াড় আরাফাত সানি জুনিয়রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন শাহাদাত।
জানা যায়, বোলিংয়ের সময় শাহাদাত বলের একটি নির্দিষ্ট অংশে শাইন দিতে সানিকে নির্দেশ দেন। সানি তাতে অনীহা প্রকাশ করলে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাহাদাত। এ সময় তিনি সানিকে চড়-থাপ্পড়-লাথি মারেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সতীর্থ এবং আম্পায়াররা এগিয়ে আসেন। ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার এতদিন মাঠের বাইরে অপকর্মে জড়িত থাকলেও এবার সতীর্থকে মাঠে পিটিয়ে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে স্বাগতিক খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিংয়ের সময় আরাফাত সানি জুনিয়রকে বল ঘসে দিতে বলেন শাহাদাত। কিন্তু সানি তাতে গড়িমসি করলে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠের মধ্যেই সানিকে কয়েকটি চড় মারেন শাহাদাত। এসময় তাকে থামাতে ব্যর্থ হলে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ম্যাচটি থেকে শাহাদাতকে বাদ দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে গৃহকর্মীকে মারধরের অপরাধে কারাভোগের সাজা হলে তাকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয় বিসিবি। এরপর থেকে তিনি আর দলে ফেরার সুযোগ পাননি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৩৮টি টেস্ট, ৫১টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং ৬টি টি২০ ম্যাচে অংশ নেন শাহাদাত।
Discussion about this post