আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে একটি ট্রেনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেছে অন্তত ৬২ জন। দগ্ধ হয়েছেন আরো অনেকে।
বৃহস্পতিবার সকালে করাচি-রাওয়ালপিণ্ডি তেজগাম নামের একটি ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রয়টার্স জানিয়েছে, লাহর থেকে করাচি গামী ট্রেনটি পাঞ্জাব প্রদেশের দক্ষিণের শহর রহিম ইয়ার খানে পৌঁছানোর পর ট্রেনের রান্নঘরে হঠাৎ বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়েন্ত্রণে আনেন। আগুনের ট্রেনের তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দগ্ধদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।
ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ১০টি মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
হতাহতদের লিয়াকতপুরের ডিএইচকিউ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলা রেসকিউ সার্ভিসের প্রধান বাকির হোসেন জিয়ো টেলিভিশনকে এই নিহতের খবর নিশ্চিত করে বলেন, এছাড়াও ১৫ জন আহত হয়েছেন। আগুন থেকে পালাতে গিয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ট্রেনটি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচি থেকে লাহোরে যাচ্ছিল। তখন এক যাত্রীর গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাঞ্জাব প্রদেশের দক্ষিণে রহিম ইয়ার খান শহরের কাছে এই বিস্ফোরণে ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা সর্দার মুহাম্মদ আমির তৈমুর খান প্রথমে নিহতের সংখ্যা ২৫ বলে উল্লেখ করেন, পরে তা ৪৬ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। এখন ৬২ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
পাকিস্তান রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেন, একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যে কোচে বিস্ফোরণটি ঘটেছে, সেটি তাবলীগ জামাতের এক লোক বুকিং নিয়েছিলেন। সকালের নাস্তা তৈরিতে তিনি গ্যাস স্টোভে ডিম সিদ্ধ করছিলেন, তখনই বিকট বিস্ফোরণে চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
পাকিস্তানের রেলওয়েমন্ত্রী শেখ রশিদও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তানের আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে জানা গেছে, আহতদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও মুলতান থেকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post