ডেস্ক রিপোর্টঃ-
নরসিংদী জেলার যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের অন্য আরেকটি ধারায় তাদের সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুটি ধারার সাজা একই সঙ্গে চলবে।সোমবার ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় দেন।

রায়ের সময় পাপিয়া ও তার স্বামীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাওয়া হয়েছিল।পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৩টি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা, এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেফতার কৃত অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারের পর সেইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয় ।৩১ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় ১২ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনই আদালতে সাক্ষ্য দেন।
Discussion about this post