ভরণপোষণ আইন ও শাস্তি আইন ২০১৩ অনুযায়ী সন্তান যদি বাবা মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব না নেন তাহলে আদালতে গিয়া মামলা দায়ের করতে হবে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। সন্তানের নিকট পিতা মাতার চাওয়া পাওয়ার শুধু একটাই যা হলো সু সন্তান হয়ে পিতা মাতার মুখ উজ্জ্বল করা। কিন্তু দুঃখজনক হলে সত্য যে বর্তমানে পিতা মাতাকে সন্তানের কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার জন্য আদালতে যেতে হচ্ছে।
আসুন জেনে নি আইনে কি বলা হয়েছে –
এই আইনে ৩ ধারা বলা হয়েছে –
প্রত্যেক সন্তানের তাহার পিতা মাতার ভরণপোষণ নিশ্চিত করিতে হইবে। ভরণপোষণ আইন ও শাস্তি অনুযায়ী কোন পিতা মাতার একাধিক সন্তান থাকিলে সেইক্ষেত্রে সন্তানগণ নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করিয়া তাহাদের পিতা মাতার ভরণপোষণ নিশ্চিত করিবে, এবং একইসঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত করিতে হইবে। কোন সন্তান তাহার পিতা মাতাকে তাহাদের ইচ্ছায় বিরুদ্ধে কোন বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একএে কিংবা আলাদা আলাদা বসবাস করিতে বাধ্য করিবে না, পিতা ও মাতার স্বাস্থ্য নিয়মিত খোঁজ খবর রাখিবে। পিতা মাতার সাথে সন্তান না থাকলে সন্তানের দৈনন্দিন আয় হইতে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ অর্থ নিয়মিত প্রদান করিবে।
ভরণপোষণ আইন ও শাস্তির ধারা ৪ এ বলা হয়েছে – পিতা মাতার অবর্তমানে দাদা – দাদী নানা নানীর ভরণপোষণ কথা বলা হয়েছে।
ধারা ৫ বলা হয়েছে –
পিতা মাতার ভরণপোষণ না করিবার দন্ড উক্ত অপরাধ জন্য ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড দন্ডিত হইবে বা উক্ত অর্থদন্ড অনাদায়ে ক্ষেত্রে ৩ ( তিন) মাস কারাদন্ডে দন্ডিত হইবে।
ধারা ৭ বলা হয়েছে –
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার
১ম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারযোগ্য হইবে।
ধারা ৮ বলা হয়েছে –
আপোষ নিষ্পত্তি
আদালত এই আইনের অধীনে প্রাপ্ত অভিযোগ আপোষ নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার কিংবা ক্ষেত্রমত সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলর কিংবা অন্য যে কনো উপযুক্ত ব্যাক্তির নিকট প্রেরণ করতে পারিবে।
Discussion about this post