ডেস্ক রিপোর্ট
ঘটনার শুরু একটি পুলিশ বক্সের উচ্ছেদ নিয়ে। রাজধানীর আসাদ গেট এলাকায় ডাম্প ট্রাক ও পে-লোডার নিয়ে ওই পুলিশ বক্সটি উচ্ছেদ করতে যায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদের পর আর সেটি উচ্ছেদ হয়নি। পুলিশ বলছে, সড়ক থেকে বক্স উচ্ছেদ করতে হলে ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি লাগবে। আর ডিএনসিসি বলছে, ওই ঘটনা ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। তাহলে এখন কি সেখানে পুলিশ বক্স থাকবে না কি উচ্ছেদ হবে? দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে গণমাধ্যম।
ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবারের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল। বরং সিটি কর্পোরেশন থেকে পুলিশের জন্য পুলিশ বক্স করে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আর পুলিশ বলছে, হুট করে এসে বক্স ভাঙ্গার সুযোগ নেই। এরপর কেউ আসলে ডিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে অনুমতি আনতে হবে।
কর্পোরেশন বলছে, অনুমতি ছাড়াই সেখানে পুলিশ বক্স গড়ে তোলা হয়েছে। ভাষা শহীদ আসাদ সরণির স্মৃতিস্তম্ভ বরাবর সড়কে প্রবেশ করতে (বিজয় ল্যান্ড) ওপরে ৬-৭ ফুট পাশে ৮-৯ ফুট লম্বা একটা কংক্রিটের ভবন; যেখানে একতলার একটা রুম করা হচ্ছে।
এসময় পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা ভোররাতে চুরি করতে আসছে, তারা কি এখানে উচ্ছেদ করতে আসছে? উচ্ছেদ করতে আসার আগে কেন পুলিশকে জানায়নি। তারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এগুলো করছেন। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। এর আগের দিনও (সোমবার) পুলিশ বক্সটি উচ্ছেদ করতে সেখানে যান ডিএনসিসি কর্মকর্তারা।
এখন ট্রাফিক বক্স ভেঙে ফেলার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। এখানে আমার সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মেয়র স্যার যেটা বলেন সেটাই পরবর্তীতে করণীয়।
Discussion about this post