ডেস্ক রিপোর্ট
হাজতিদের ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানোর বিষয়ে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া প্রিজন অ্যাক্ট ১৮৯৪ ও জেল কোডের স্বেচ্ছাচারী এবং অযৌক্তিক ব্যবহার করে সাধারণ কয়েদিদের ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাযায় যাওয়া গাজীপুর ও শরীয়তপুরের দুই ব্যক্তিকে অমানবিকভাবে ডান্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাফ পরানোয় কেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, কারা মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের পুলিশ সুপার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, কালিয়াকৈর থানার ওসি এবং শরিয়তপুরের পালং থানার ওসিকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
কারাগারে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের প্যারোলে মুক্তির পর ডান্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রোকুনুজ্জামান সুজা।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, প্যারোলে মুক্তি দেয়ার পর ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় নেয়া হয়েছে এক ব্যক্তিকে। সংবাদ অনুযায়ী ঘটনাটি অসাংবিধানিক। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিট দায়ের করি।
কায়সার কামাল বলেন, আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে ডান্ডাবেড়ি পরানোয় নীতিমালা করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
Discussion about this post