নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে ফেসবুকে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে তলব করেছে আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ রবিবার (৮ আগস্ট) দিন ধার্য রয়েছে।
বিষয়টি শুনানির জন্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকা কজলিস্ট সবার শীর্ষে রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে ফেসবুকে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে এর আগে গত ১৫ জুলাই তলব করেছিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, আপিল বিভাগে হাজির হয়ে সেই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাকে।
৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে (এক নম্বর বিচার কক্ষে) সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্য দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওইদিন পর্যন্ত তাকে আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
আর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আইনজীবী আশরাফের ওই ফেসবুক পোস্ট অপসারণ করে তার সবগুলো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওই দিন (১৫ জুলাই) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এই আইনজীবী (ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফের ফেসবুক পোস্টটি নজরে আনলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক মোহাম্মদ ইমান আলী আদেশে বলেন, ‘আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফের ফেসবুক স্টেটমেন্ট অবমাননাকর। তার এই স্টেটমেন্ট আদালতে উপস্থাপন করে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ ও তার সমালোচনা করে ২৪ জুলাই পোস্ট দিয়েছিলেন আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ।
কয়েকজন আইনজীবী সেটা আমাকে দেখিয়েছেন। পরের দিন (১৫ আগস্ট) আমি এটা আদালতের নজরে আনলে বিচারপতিরা খুব উষ্মা প্রকাশ করেছেন এই ধরনের কার্যকলাপে।
তিনি বলেন, আশরাফ তলব করা হয়েছে। আজ ৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে, কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমানার অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। তাকে আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আপাতত কোনো কোর্টে সে কোনো মামলা করতে পারবে না। আর বিটিআরসিকে আদালত বলেছেন, তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলো ব্লক করতে।
আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ তিনি জেনেছেন। এ বিষয়ে যা ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন তা আদালতে দেবেন।
‘আমি দেশের সাধারণ আইনজীবীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। এই পোস্ট দিয়ে আমি মোটেও হীনমন্য নই, আমি গর্বিত। আদালতের সামনে এসে আমি আমার ব্যাখ্যা দেব।’
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বিষয়টি আদালতের নজরে আনার সময় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলও আদালতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
Discussion about this post