সারাদেশে যত জায়গায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে সেসব ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন।
আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক কমিশনার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সার্কুলার দিয়েই সারাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির কার্যক্রমসহ প্রতিটি সাধারণ কাজ অনলাইন ভিত্তিক করার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস কীভাবে ঠেকানো যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুদক জানায়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দাবি করেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে কোচিং সেন্টার, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ জড়িত। এই প্রশ্নপত্র ফাঁসে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থের লেনদেন হয়।
এ সময় দুদক মন্ত্রীর কাছে ৩৯টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ শিক্ষাখাতের দুর্নীতি নির্মূলে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুদকের এসব সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দুর্নীতি নির্মূলে কাজে দেবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বুয়েটের একটিমাত্র কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তারপরও সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। আর আমাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ হাজার কেন্দ্রে। তাই কতিপয় অসাধু শিক্ষকের সহযোগিতায় কিছু কিছু কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। তবে এসব কেন্দ্রেও যাতে প্রশ্ন ফাঁস না হয় সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে’।
Discussion about this post